
কুইবেকের ভাষা আইনের একটি অংশ উপযুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন কুইবেকের একটি আদালতের বিচারক। ওই অংশে ইংরেজি ভাষী আদালতের সিদ্ধান্ত তৎক্ষণাৎ ফ্রেঞ্চ ভাষায় রূপান্তরের কথা বলা হয়েছে।
১৭ মে এক সিদ্ধান্তে ডেনিস গালিয়াতসাতোস লেখেন, ইংরেজি ভাষায় লিখিত কোনো সিদ্ধান্ত একইসঙ্গে ফ্রেঞ্চ ভাষায় অনুবাদ অপরাধে অভিযুক্ত কুইবেকের অ্যাংলোফোনদের বিচার প্রক্রিয়ার গতি শ্লথ করবে।
১ জুন থেকে কার্যকর হতে যাওয়া কুইবেকের ল্যাঙ্গুয়েজ চার্টারে বলা হয়েছে, ফ্রেঞ্চ ভাষায় ভাষান্তর অবশ্যই করতে হবে এবং কোনো ধরনের বিলম্ব ছাড়াই। গালিয়াতসাতোস বলেন, ভাষান্তর করতে ও তা অনুমোদন পেতে কয়েক সপ্তাহ এমনকি কয়েক মাস লেগে যেতে পারে, যা রায় প্রদানকে বিলম্বিত করবে এবং যাদের বিচার ইংরেজি ভাষায় হবে তাদেরকে ফ্রেঞ্চ ভাষায় যাদের বির্চা হবে তাদের তুলনায় ভবিতব্য সম্পর্কে জানতে দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হবে। এর নিট ফলাফল হচ্ছে, কুইবেকের অভিযুক্ত সব অ্যাংলোফোনকে রায় পেতে ফ্রাঙ্কোফোনদের তুলনায় বেশি সময় অপেক্ষমাণ থাকতে হবে। এই তফাৎটাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।
এই বিচারক বলেন, তৎক্ষণাৎ এবং অনতিবিলম্বে শব্দগুলো ফৌজদারি দ-বিধিতে উল্লেখিত ভাষা অধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়ায় এগুলো ব্যবহার করা উচিত নয়। ক্রিস্টিন প্রাইডের কারণে স্বউদ্যোগী হয়ে এ ব্যাপারে রুলিং দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ২০২১ সালে বিপজ্জনক ও ইম্পেয়ার্ড গাড়ি চালানো ও এবং অবহেলার কারণে আইরিন ডেহেম নামে এক সাইক্লিস্টের মৃত্যুর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আনা মামলার বিচার হওয়ার কথা ছিল জুনে। কিন্তু আইনে নতুন সংশোধনী দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা মামলাটির রায় প্রদান বিলম্বের ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।
বিচারক তার রুলিংয়ে লিখেছেন, এর অর্থ হচ্ছে মামলার চূড়ান্ত রায় পেতে প্রাইড, ক্রাউন, আইরিন ডেহেমের পরিবার ও মন্ট্রিয়ল জুডিশিয়াল ডিস্ট্রিক্টের নাগরিকদের বাড়তি আরও কয়েক সপ্তাহ বা মাস অপেক্ষা করতে হবে। যদিও তার আগেই রায় প্রস্তুত হয়ে যাবে।
তবে সরকার এই রুলিংয়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে বলে জানিয়েছেন কুইবেকের বিচারমন্ত্রী সিমন জোলিন-ব্যারেট। একই সঙ্গে তিনি এই দাবিও করেন যে, অনুচ্ছেদটি বৈষম্যমূলকও নয়। আবার বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার উদ্দেশ্যও নেই এখানে।