
ল্যারি ম্যাকাবে সত্যি সত্যিই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ডিজিটাল প্যালেট পরীক্ষা করে দেখতে চেয়েছিলেন। এ কারণেই বাস্তব জগতের পাচুকের বিপরীতে তিনি দাঁড় করিয়ে দেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে।
প্রম্ট ছিল খুবই সরল। চ্যাটজিপিটিকে তিনি ককটেলের সঙ্গে অনন্য ক্যানাপে তৈরি করতে বলেন। একই নির্দেশনা তিনি তার অন্টারিওর স্ট্র্যাটফোর্ডের ক্যাফে বুফোনের কর্মীদেরও দেন। এরপর ফ্রেঞ্চ রেস্তোরাঁটি তৈরি খাদ্য চেখে দেখার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তবে কে কোন খাবারটি প্রস্তুত করেছে সে তথ্য লোকজনের আড়ালেই রাখা হয়।
ম্যাকাবি বলেন, চিন্তার উদ্রেক করে এমন কিছু আমরা করতে চেয়েছিলাম এবং প্রশ্নটি ছিল, আমাদের পরবর্তী মাস্টার শেফ কি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে আসবে? অথবা স্বাদের বিষয়টি একেবারেই মানুষের বিষয়?
নয়। বরং, এটা ব্যস্ত পাচক, ব্রিউ মাস্টার ও কফি রোস্টারদের সহায়তা করার একটি উপায়। রেস্তোরাঁ মালিকরা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য মুখিয়ে আছেন।
ম্যাকাবির খাবার চেখে দেখার ওই অনুষ্ঠানে মানুষের তৈরি খাবারের পক্ষেই বেশিরভাগ রায় এসেছে। কিন্তু একটি পেয়ারিংয়ে এগিয়ে ছিল এআই।
ইসাইয়াহ গত বছরের শুরুর দিকে বিপণন কৌশল হিসেবে চ্যাটজিপিটিকে হুইসল বয় ব্রিউয়িংয়ের জন্য একটি নতুন ধরনের বিয়ার প্রস্তুত করে দিতে বলেন। আর্চার বলেন, এআই সিস্টেমের বিয়ার রেসিপিকে খারাপ বলা যাবে না। তবে এতে ব্রিউমাস্টারের হাতের ছোঁয়া প্রয়োজন।
বিশ্বব্যাপীই খাদ্য ও পানীয় শিল্প এআই নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। ফিনল্যান্ডে কাফা রোস্টারি এআই-কনিক নামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি একটি কফি ব্লেন্ড চালু করেছে। অটোমেটেড পিৎসা মেকার, বার্গার ফ্লিপার এবং ফ্রাই ফ্রায়ারসের মতো প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে ডমিনো’স, হোয়াইট ক্যাসেল এবং ম্যাকডোনাল্ড’স।