
বড়দিন নিয়ে ২০২৩ সালের প্রতিবেদন নিয়ে তোপের মুখে পড়েছে কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন এ নিয়ে এতটাই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে যে কর্মীরা এখন তাদের নিরাপত্তা নিয়েই ভয়ের মধ্যে রয়েছেন
বড়দিন নিয়ে ২০২৩ সালের প্রতিবেদন নিয়ে তোপের মুখে পড়েছে কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন। এ নিয়ে এতটাই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে যে, কর্মীরা এখন তাদের নিরাপত্তা নিয়েই ভয়ের মধ্যে রয়েছেন। প্রতিবেদন বড়দিনকে বর্ণবাদী উদযাপন বলে উল্লেখ করা হয়, যা কানাডার ঔপনিবেশিক ইতিহাসের মধ্যে প্রোথিত।
তথ্য অধিকার আইনে প্রাপ্ত নথিতে দেখা গেছে, একজন কর্মী ‘ডিসকাশন পেপার অন রিলিজিয়াস ইনটলারেন্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। ৩১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে কেবল তার নামটিই বাদ দেওয়া হয়েছে।
কমিশন বলেছে, তথ্য অধিকার আইনের ১৭ অনুচ্ছেদ ব্যবহার করে তারা লেখকের নাম গোপন রেখেছে। অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কোনো রেকর্ডের জন্য অনুরোধ করা হলে তা প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। নথির এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করা হলে ব্যক্তির নিরাপত্তা হুমকিতে পড়ার যৌক্তিক আশঙ্কা থাকলে এমনটা করতে পারেন তিনি।
রেকর্ডে দেখা গেছে, নাম উল্লেখ না করা ওই লেখক প্রতিবেদন সংশোধনে দুই বছর ব্যয় করেছেন। প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য ছিল, কানাডায় সমস্যাটি মেনে নিয়ে এবং খুবই উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনার মাধ্যমে একে একটি সরকারি সম্পদে পরিণত করা।
ডিসকাশন পেপারের নিন্দা জানিয়ে ব্লক কুইবেকোয়িসের আনার একটি প্রস্তাব গত বছরের ৩০ নভেম্বর সর্বসম্মতভাবে পাস করে হাউস অব কমন্স। ব্লকের সংসদীয় দলের নেতা অ্যালেইন থেরিয়েন বলেন, বড়দিন যে বৈষম্যমূলক নয় এখনো জনগণকে সেটা স্মরণ করিয়ে দিতে হচ্ছে, যা অবিশ্বাস্য।
প্রস্তাবে কানাডিয়ান মানবাধিকার কমিশনের মন্তব্যের নিন্দা জানানোর জন্য সংসদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সেই সঙ্গে বড়দিন ঘিরে যেকোনো মেরুকরণের চেষ্টা প্রত্যাখ্যানের আহ্বানের পাশাপাশি বড়দিনের সময় এক থাকার আহ্বান জানানো হয়। মেরি ক্রিসমাস বলে এমপিরা সেটাই করেন।