জন্ম মৃত্যু দুটোই আল্লাহর হাতে। জন্মে মানুষের কৃতিত্ব নেই, কৃতিত্ব আছে জন্মের পর এই ছোট্ট জীবনটাকে কতটুকু সার্থক করে তোলা যায় তার উপর। যারা নিজের জন্মদিনকে সত্যিকার অর্থে মহিমান্বিত করে তুলতে চায়, যারা এই দিনে জন্মে দিনটাকে বিশেষ দিন মনে করেন তারা নিশ্চয়ই পারেন নিজের জন্মদিনে এমন কিছু করতে যা এই দেশ এই মাটি এই ধরিত্রীকে আরো অনেকদিন মানুষ পশু পাখী জীব জন্তুর বাসযোগ্য করে রাখতে পারে। সবাই এমন করে চিন্তা করে না কিন্তু কেউ কেউ করে।
গত ক দিনে দুজনকে দেখলাম তাদের জন্ম দিনে দুটো মহান কাজ করে ফেলেছে। এত অল্প বয়সে এত মহত কাজ এই যুগে বিরল।
আমাদের প্রিয় আব্দুস সালাম রেজার ছেলে আসাদুজ্জামান রিয়াদ তার জন্মদিনে কিছু বৃক্ষরোপণ করেছে। বিষয়টি আমাকে অভিভূত করেছে। এই পৃথিবীতে আমরা প্রতিদিন এমনসব কাজ করি যা মানুষ, ভুমন্ডল, বায়ুমন্ডলের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর। আমরা নদী নালা দখল করি, গার্বেজ ফেলে মাটির উর্বরতা নষ্ট করি, এমনভাবে পরিবেশ দূষণ করি যাতে বিশ্বের এক নম্বর বায়ু দূষণের শহরে পরিনত করি, নদী শুকিয়ে যায়, সমুদ্র উত্তাল হয়, তীব্র দাবদাহ অথবা অত্যধিক শীতে মানুষ পশুপাখির জীবন বিপন্ন হয়। সেই সময় যে দুটো গাছ লাগায় সে পরিবেশ রক্ষা করে, নিজে বাঁচে অন্যকে বাঁচতে সাহায্য করে।
অপরজন তার নামটি মনে নেই সেই ছেলেটি তার জন্মদিনে কিছু গরীব দুখী মানুষকে একবেলা পেট পুরে খাবারের ব্যবস্হা করেছে।
সত্যি কথা বলতে হাজারো খারাপ জিনিষ দেখতে দেখতে মন প্রাণ যখন সত্যিই চরম অবসাদগ্রস্ত, ঠিক সেই সময়ে এরকম দুটো দৃশ্য দেখে খুবই ভাল লাগল।
তোমাদের দুজনের মত সবাই যদি লোক দেখানো জন্মদিন পালন বাদ দিয়ে নিজের জন্মদিনে এমন একটা ভাল কাজ তা যতই ক্ষুদ্র হোক না কেন, করতো তাহলে গোটা বিশ্ব বদলে যেতে খুব বেশী সময় লাগতো না।
আমি রিয়াদ ও অপর ছেলেটির জন্যে প্রাণ ভরে দোয়া করি।