আম্মা কানাডায় আসবেন। গল্প করবো। ঘুরে বেড়াবো। কত অপেক্ষা। আম্মাকে নিয়ে আমার এসব অনেক স্বপ্ন ছিল। দুই হাজার ষোলো সালে আম্মা পরপারে চলে গেলেন। যাঁরা মা-বাবাকে এখানে নিয়ে এসেছেন, দেখা-শোনা করছেন- তাঁদের মতো ভাগ্যবান খুব কমই আছে বলে আমার মনে হয়।
আমার বন্ধু শিপু অনেক ভাগ্যবান। আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ায় থাকে। শিপু আর ভাবী দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তাঁরা দু’জনই বেশ ভাগ্যবান। কারণ খালাম্মাকে সাথে রাখেন। তাঁর শ্বাশুড়ীকে রাখার সৌভাগ্যও হয়েছে।
আমার সৌভাগ্য হয়েছে এবার দুই খালাম্মাকে আতিথেয়তার। গত সোমবার তাঁরা এসেছিলেন। সাথে ভাবী, শিপুর ছেলে-মেয়েও। আমরা টরন্টোর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি। দুই খালাম্মার সাথে গল্প করেছি।
গতকাল আবার ফিরে গেলেন সবাই। তবে প্রার্থণা করি তাঁরা যেন সুস্থ্য থাকেন। আবার কখন কানাডায় বেড়াতে আসবেন, সে অপেক্ষায় থাকবো।