9.7 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫

 

পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫ - the Bengali Times
প্রতীকী ছবি

সাভারের আশুলিয়ায় পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে হত্যা করে লাশ গ্রামে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বিল্লাল হোসেনে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

- Advertisement -

গ্রেপ্তাররা হলেন হত্যার শিকার প্রতীক হাসানের স্ত্রী লিজা আক্তার (১৮), লিজার মা লাকী বেগম, দাদি ফুলজান ও চাচাতো বোন জামাই সুজন মিয়া ও পরকীয়া প্রেমিক সেলিম।

নিহতের নাম প্রতীক হাসান (৩০) ঘাটাইলের লক্ষ্মীন্দর ইউনিয়নের বিল্লাল হোসেনের ছেলে। তার মা হাসনা বেগম ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে একই উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ঘোনার দেউলি গ্রামের লেবু মিয়ার মেয়ে লিজা আক্তারের সঙ্গে প্রতীক হাসানের বিয়ে হয়। বিয়ের পরই ঢাকার আশুলিয়া গিয়ে স্বামী প্রতীক হাসান একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়। আর লিজা ওখানেই গৃহপরিচারিকার কাজ করত। স্বামী পোশাক কারখানায় কাজ করতে গেলে একই বাসায় সিরাজগঞ্জের সেলিম নামে এক ভাড়াটিয়া যুবকের সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শনিবার এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই সময় লিজা ও পরকীয়া যুবক মিলে প্রতীক হাসানকে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে লাশটি শ্বশুরবাড়ি নিয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছে বলে তার শাশুড়িকে জানায়। বিষয়টি সন্দেহ হলে তাদের আটক করে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ তাদের আটক করলে লিজা আক্তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করে।

বিল্লাল জানান, আমার ছেলে আশুলিয়ায় গার্মেন্টসে চাকরি নেয়। এরই মধ্যে সেলিম নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে লিজা। শনিবার প্রতীক হাসান গ্রামের বাড়ি আসে। লিজাও ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়ায় তার এক আত্মীয়ের বাড়ি আসেন। লিজা ফোনে যোগাযোগ করে প্রতিক হাসানকে আবার গাজীপুর নিয়ে যায়। এর মধ্যে ছেলের সঙ্গে তার এবং পরিবারের কারো সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয় না। পরে রবিবার রাতে লিজার বাবা ফোন করে বলেন, প্রতিক স্ট্রোক করে মারা গেছে। আমরা লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি আসছি। পরে সোমবার সকাল ৯টার দিকে প্রতিকের লাশের সঙ্গে তার স্ত্রী এবং শাশুড়ি বাড়িতে আসে।

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ) মো. জিয়াউল ইসলাম বলেন, হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ আসামিকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles