5.2 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

ইউরোপের পথে পথে

ইউরোপের পথে পথে - the Bengali Times
ইউরোপের পথে পথে

পুরনো বইয়ের দোকান
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে আমাদের হোটেলের কাছেই পুরনো বইয়ের দোকানটা। বেশ খানিক সময় কাটালাম সেখানে। ভাস্কো দ্য গামার গল্প নিয়ে দেড়শ দুশ বছর আগের আঁকা বহু ছবি, কতো বিচিত্র বই! ক্যামোয়েসের কবিতার কত শত সংস্করণ যে দেখলাম!

ইংরেজি ভাষায় অনূদিত বইপত্র কম। দোকানের মালকিন জানালেন ইদানীং অনেক পর্তুগিজ-না-জানা মানুষ পর্তুগালের পুরনো সাহিত্যের অনুসন্ধান করতে দোকানে আসেন।

- Advertisement -

জাতীয় বীর হিসেবে ভাস্কোর এমন উজ্জ্বল দীপ্তির সন্ধান পর্তুগালে না এলে অনুভব করাই সম্ভব হতো না।

ইউরোপের পথে পথে - the Bengali Times

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক
ফারনান্দো পেসোয়া পর্তুগীজ সাহিত্যের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক। ১৯৩৭ সালে মাত্র ৫৭ বছর বয়সে মারা যাবার আগে তার নাম বিশেষ কেউই জানতো না।

১৯৪০ এর দশকে তার ট্রাঙ্ক খুলে পাওয়া যায় হাজার হাজার পাতা হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি। বিভিন্ন নামে তিনি লেখাগুলো লিখেছিলেন। তিনি মনে করতেন তাঁর অনেকগুলো সত্তার প্রকাশ ঘটেছে এক একটি বিশেষ ধারার রচনাতে।
লিসবনে আমাদের থাকার জায়গায় কাছেই পেসোয়ার ব্রোঞ্জমূর্তি।
একেই ভাগ্য বলে।

ইউরোপের পথে পথে - the Bengali Times

পৃথিবীর প্রাচীনতম বইয়ের দোকান
পৃথিবীর প্রাচীনতম বইয়ের দোকানটি রয়েছে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে। কিন্তু সেটি যে আমাদের হোটেলের এত কাছে সেটা জেনে আনন্দের আর সীমা রইল না। ১৭৩২ সালে এই দোকানটি শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ বয়স ২৯২ বছর। তীর্থভ্রমণের পূণ্যি অর্জন হলো ঘুম থেকে উঠেই।

লেখকনামা
এই লেখক মারা যাবার পর তাঁর ট্রাঙ্কে পাওয়া গেল হাতে লেখা ২৪ হাজার পৃষ্ঠা। অচেনা লেখক মৃত্যুর পর এতোই খ্যাতিমান হয়ে উঠলেন যে, শহরের আনাচে-কানাচেতে তাঁর নাম, ছবি আর চিহ্ন এখন সকলের কাছে অবশ্য দর্শনীয়।
জয়তু ফার্নান্দো পেসোয়া।

যে গ্রন্থরাজী দিয়ে এই ভাস্কর্যের মুখ ঢাকা সেটির একপাশে লেখা Pessoa অন্যপাশে লেখা Lisboa.

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles