
প্রেম যেমন বয়সের বাধা মানে না, তেমনই সম্পর্কের জটিল হিসাবও মানে না। এই অনুভূতি প্রেমিক-প্রেমিকা বুঝতে পারলেও পরিবার কি সেই যুক্তি মানে? তেমনই ভাইঝির প্রেমে পড়েছিলেন চাচা। চেয়েছিলেন বিয়ে করতেও। কিন্তু পরিবারের কেউ দুজনের সম্পর্ক মানেনি। চেয়েছে তাদের আলাদা করে দিতে। পরিবারের সদস্যদের রাজি করাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত চরম সিদ্ধান্ত নিলেন দুজন। একসঙ্গে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন তারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের জালাউন জেলার। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ঝাঁসি-কানপুর রেললাইনের ছাউঙ্ক এবং উসারগাঁওয়ের মাঝে রেললাইন থেকে যুগলের ছিন্নভিন্ন মরদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে কাটা মরদেহ দেখতে পান। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
গগলস ছাড়া সাঁতার ডেকে আনছে অন্ধত্ব!গগলস ছাড়া সাঁতার ডেকে আনছে অন্ধত্ব!
পুলিশ এসে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এরপর পরিবারকে জানানো হয়। তদন্তে জানা গেছে, জালাউনের বাসিন্দা মণীশ আহিরওয়ার তার ভাইঝির প্রেমে পড়েছিলেন। ২২ বছর বয়সী ওই যুবক মামাবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানেই মামার নাতনি দীক্ষার (১৯) প্রেমে পড়েন। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে।
কোচিংয়ে যাওয়ার নাম করে তারা দেখা করত। কিন্তু সম্পর্কটা জানাজানি হয়ে যায়। দুই পরিবারই আপত্তি জানায় তাদের সম্পর্ক নিয়ে। কিন্তু তারাও নাছোড়। হাজার চেষ্টা করেও যখন পরিবারের সদস্যদের রাজি করাতে পারেনি, তখন তারা পালিয়ে যায়। বুধবার সারাদিন একসঙ্গে থাকার পর বৃহস্পতিবার ভোরে রেল লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে তারা।