
টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার চারদিন হয়ে গেলেও দেশের ক্রিকেট উত্তাল হয়ে আছে তাসকিন আহমেদের ঘুমকাণ্ডে। ভারতের বিপক্ষে সুপার এইটের ম্যাচের আগে ঠিক সময়ে টিম বাস ধরতে পারেননি তাসকিন। তার ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়েছিল। পরে এ নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। সবশেষ বুধবার ফেসবুকে সংবাদমাধ্যমের ওপর দায় চাপিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন তাসকিন।
ভারত ম্যাচের আগে সহ-অধিনায়ক হয়েও তাসকিন ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে পারেননি। নিজের ফেসবুক পোস্টে এই সত্যিটা স্বীকার করে নিয়েছেন তাসকিন। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরবর্তী অংশ নিয়ে তার আপত্তি। সেসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করায় তাসকিনকে ভারতের বিপক্ষে একাদশে রাখা হয়নি। কিন্তু এমন দাবিকে ভুল এবং গুজব বলেছেন তাসকিন।
দেশের অন্যতম সেরা পেসারের এমন ফেসবুক পোস্টের পর বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমগুলো তাসকিনের এই ঘুমকাণ্ডের সংবাদ প্রকাশ করেছিল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির সূত্রের বরাত দিয়ে। অর্থাৎ, বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশ বিদায় নেওয়ার বেশ কয়েকদিন পর দল বা বোর্ডের কেউ এই সংবাদ গণমাধ্যমের কাছে ফাঁস করেছেন। তার দেওয়া তথ্যের সঙ্গে তাসকিনের বক্তব্যও মিলে যাচ্ছে একটা আপত্তি ছাড়া। সেটা হলো- একাদশ থেকে বাদ পড়ার কারণ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভেতরের খবর বাইরে আসার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সাকিব-তামিমের দ্বন্দ্বের ঘটনা তো খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনই ফাঁস করেছিলেন। সেই ঘটনা কিংবা তাসকিনের এই ঘটনায় দেশের ক্রিকেটের কী লাভ হয়েছে- সেটা বিসিবিই জানে। তবে তাসকিন তার ফেসবুকে যেভাবে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন, ভবিষ্যতে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিলেন, তা কি যৌক্তিক?
বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের বিদায়ের প্রায় এক সপ্তাহ পর তাসকিনের ঘুমের খবর দল বা বোর্ডের কেউ ফাঁস না করলে সেটা গণমাধ্যমে আসত না। ভেতরের কথা ভেতরেই থেকে যেতো। যেহেতু বোর্ডের সূত্রের বক্তব্যের সঙ্গে তাসকিনের বক্তব্য মিলে গেছে, তাই এটাকে আর অস্বীকার করার উপায় নেই। গণমাধ্যমের কাজ সংবাদ সংগ্রহ করে প্রকাশ করা। বিসিবির ভেতরের খবর কতটা বাইরে আসবে, সে দায়িত্ব তো নিশ্চয়ই গণমাধ্যমের নয়।