
আমাদের সুজিত কুসুম পাল দাদার সাড়াজাগানো ‘ইয়েটসের কবিতায় নারী ও নিকুঞ্জ ‘ পড়বার সুযোগ হলো। বইটি পড়বার ঘোর এখনো কাটছে না। ইয়েটস এর কাব্যচর্চার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কি অদ্ভুত মুন্সিয়ানায় বুনেছেন, সে গল্প আরেকদিন করবো। যাই হোক, একবার অটোয়া গেলাম কাজে , বইটা দ্বিতীয়বার পড়বার জন্য সাথে নিয়ে গেলাম।
হোটেলের রুম থেকে ঠাট্টা করে সুজিতদাকে মেসেঞ্জারে জানালাম, আপনার বই এখন আমার সঙ্গী , উনি উনার স্বভাবসুলভ রসিকতায় যোগ করলেন , শয্যাসঙ্গী। আসলে এতো ভূমিকা করলাম , সুজিতদার সাথে পরিচয়ের পেছনের কারণটা জানানোর জন্য। যে মানুষটার কারণে সুজিতদার সাথে পরিচয় হয়েছিল , তিনি আর কেউ নন , আমাদের সবার পরিচিত সুব্রতদা । স্বপ্নবাজ এক মানুষ তিনি , সাহিত্যের মতো নিরেট বিষয়টাকে এই দূরদেশে অনেকের সাথে উপভোগ করবার নানান আয়োজন তিনি করে চলেছেন। এমন অনেক কবি, সাহিত্যিকের সাথে পরিচয়ের তিনিই সূত্রধর।
আমার ভালো লাগছে , সুব্রতদার আয়োজনের সুবাদে আসছে ২০ জুলাই এমন এক সন্ধ্যায় টরন্টো এবং বাইরের অনেক গুণী সাহিত্য কর্মী , লেখক , পাঠকের সাথে এক ছাদের নিচে দেখা হবার এক সুযোগ পাওয়া যাবে। অভিবাসী জীবনে সাহিত্য চর্চা চাট্টিখানি কথা নয় , সেই দুরূহ কাজটিই করে চলেছেন এখানকার কবি, লেখকরা আর সেই পালে হাওয়া লাগিয়েছেন খুব কম মানুষ , সুব্রতদা সেই কাতারের প্রথমজন।
টরন্টো, কানাডা