
সরকারি চাকরির সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার চেয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে শাহবাগ অবরুদ্ধ রেখেছেন। এতে শাহবাগ-সংলগ্ন সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগানের মাঝে আলোচিত ‘খেলা হবে’ স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন গোটা শাহবাগ। কখনও শিক্ষার্থীরা মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে আবার কখনও তুমুল হাততালি আর স্লোগান দিয়ে গোটা এলাকা প্রকম্পিত করে রাখছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ৮টার দিকে শাহবাগে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবারের আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যুক্ত হওয়ায় অন্যদিনের চেয়েও বেশি আন্দোলনকারীর উপস্থিতি দেখা গেছে। অবশ্য সন্ধ্যার পর থেকে উপস্থিতি কিছুটা কম লক্ষ্য গেছে।
অন্যদিকে শাহবাগে দায়িত্ব পালন করা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বিকেলে ব্যারিকেড ভাঙা নিয়ে আন্দোলনকারীদের মৃদু ধাক্কাধাক্কি হলেও এরপর থেকে পুলিশকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে দেখা গেছে। আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করলেও পুলিশ সদস্যরা বারডেম হাসপাতালের সামনে মেট্রোরেলের স্টেশনের নীচে অবস্থান করছে।
এর আগে বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ অবরোধ করেন। সেখানে মেট্রোরেলের নিচে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়মুখী পথে পুলিশ ব্যারিকেড দিলে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন। তবে সামনে না গিয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে ফিরে আসেন।
শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। তা হলো- সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটা ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা সংস্কার করা। সেক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান, প্রতিবন্ধী এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটার প্রস্তাব করেছেন।