বয়স বাড়লে চুলে পাক ধরবেই- এমন ধারণা সবারই আছে। কিন্তু চুল সাদা হওয়া বা পেকে যাওয়ার সঙ্গে বয়স বাড়া বা কমার কোনো সম্পর্ক নেই। এমন অনেকেই আছেন, যাদের অল্প বয়সেই চুলে পাকতে শুরু করে।
সাধারণত মাথার ত্বকে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজের অভাবে চুল পাকতে পারে। হজমের সমস্যা বা লিভারের সমস্যার ফলেও চুল অকালে পেকে যায়।
অল্প বয়সে চুল পাকার ফলে অনেকেই অস্বস্তি বোধ করেন। তাই পাকা চুল বেছে বেছে তুলে ফেলেন। অনেকে মনে করেন পাকা চুল তুললে আরও চুল পাকতে শুরু করে, যা আসলে ভুল ধারণা। একটা চুলকে তুলে ফেললে অন্যান্য চুলের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে না।
সুইডেনের স্টকহোমে অবস্থিল চুলের সৌন্দর্যচর্চা কেন্দ্র ‘সাচাহুয়ান’য়ের ‘ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর অব এডুকেশন’ এবং ‘হেয়ার স্টাইলিস্ট’ ট্রে গিলিয়েন বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট চুলের গোড়ায় থাকা ফলিকলের মধ্যকার পিগমেন্ট কোষগুলো যত দিন বেঁচে থাকবে তত দিন চুল সাদা হবে না। একটা চুলের গিপমেন্ট কোষ মারা গেলে তার পাশের চুলের কোষে এর কোনো প্রভাব পড়ে না।’
তবে পাকা চুল বারবার টেনে তোলার অন্য ক্ষতিকর দিকও আছে।
রিয়েলসিম্পল ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে গিলিয়েন আরও বলেন, ‘একটি চুলের ফলিকল থেকে একটাই চুল গজানো সম্ভব। আর যে চুলটি একবার সাদা হয়ে গেছে, তার মানে হল ওই চুলের ফলিকলের পিগমেন্ট কোষ ইতোমধ্যেই মারা গেছে। সেটা টেনে তুলে ফেললে সেখানো আবার সাদা চুলই গজাবে।’
তবে বারবার পাকা চুল টেনে তোলার কারণে ওই ফলিকলটি ক্রমেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। একপর্যায়ে সেই ফলিকল থেকে চুল গজানোই বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানান গিলিয়েন। বলেন, ‘একেবারে না থাকার তুলনায় পাকা চুল থাকা ভালো। এ ছাড়া চুল টেনে তোলার কারণে ওই স্থানে ঘা দেখা দিতে পারে, দাগ হয়ে যেতে পারে।’ এমনিক চুল পাতলা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
গিলিয়েন আরও বলেন, ‘পাকা চুল টেনে তুললে আরও বেশি চুল পাকতে শুরু করে এমন ভেবে নেওয়ার পেছনে কারণ হলো অবশ্যই তা হঠাৎ করে চোখে পড়ে। চুলের ফলিকল যখন পিগমেন্ট তৈরি করতে পারে না তখন সেখানে সেবামও উৎপাদন হয় কম। একারণে পাকা চুল অন্যান্য চুলের তুলনায় মোটা, অমসৃণ হতে পারে।’