
জমকালো বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। বাদ্যযন্ত্র নিয়ে যথাস্থানে পৌঁছায় পাত্রপক্ষ। প্রাথমিক রীতিও শেষ হয়। মণ্ডপে বসেন বর-কনে দুজনেই। শুরু হয় মন্ত্রপাঠ। ঠিক তখনই বরের মোবাইলে এল ফোন। এরপর হোয়াটসঅ্যাপ চেক করেন পাত্র। আর তাতেই বিয়ে করতে অস্বীকার করেন তিনি।
কেন বিয়ে করবেন না? জানতে চাইলে পাত্র মুখ খোলেন। আর তা শুনে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই হতবাক। সেখানেই ভেঙে যায় বিয়ে। পাত্রকে অনেক বোঝানো হয়। কিন্তু তিনি রাজি হননি। ফিরে যায় বরযাত্রী। এমনকী বিষয়টি পুলিশের কাছেও পৌঁছায়। ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের আমরোহার আদমপুর এলাকার।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক কৃষক পরিবারের মেয়ের বিয়ে ছিল সেখানে। বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হয় বরযাত্রী। আপ্যায়নও শুরু হয়ে যায় তখন। সেই সময় গ্রামের এক যুবক বরকে ডেকে হোয়াটসঅ্যাপ চেক করতে বলেন। সেই মেসেজ দেখেই পায়ের তলায় মাটি সরে যায় তার।
আসলে বরের কাছে কেউ পাত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছিল। উভয় পরিবার বিয়ে ভাঙার কারণ জানতে চাইলে সব খুলে বলেন পাত্র। এমন ঘটনার পর থানায় যান কনের বাবা। গ্রামের ওই যুবকের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমিকার বিয়ে ভাঙতেই ওই যুবক এ কাজ করেছেন।