
আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং রিপাবলিকান পার্টির বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটা নির্বাচনী জনসভায় গুলি করা হয়েছে। গুলিটি কানের উপরের অংশ ছিদ্র হয়ে চলে গেছে, ট্রাম্প রক্তাক্ত অবস্হায় চিৎকার করে বলেছে, ফাইট ফাইট।
একেবারেই অলৌকিকভাবে তিনি বেঁচে গিয়েছেন, সামান্য এদিক সেদিক হলেই তিনি ভবলীলা সাঙ্গ করতেন। যতদুর জানা গেছে তাঁর নিজের দলেরই একজন ২০ বছর বয়সী তরুণ গুলি করেছে। কিন্তু তার পরিচয় জানার আগেই রিপাবলিকান দলের কেউ কেউ এই ঘটনার জন্যে সরাসরি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে দায়ী করেছেন।
তাদের যুক্তি হলো, বাইডেন ও তার সমর্থকেরা বহুদিন যাবৎ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে ঘৃণা ও বিষোদগার ছড়িয়েছেন তার ফল এটা। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, প্রকাশ্য জনসভায় রিপাবলিকান পার্টির জনপ্রিয় নেতাকে এভাবে গুলি করার পর সারাদেশে কি প্রতিক্রিয়া ঘটেছে? যতটুকু জানা যায় তাঁর জনপ্রিয়তার পারদ আরো উপরে উঠেছে।
কিন্তু তাই বলে এখন পর্যন্ত শুনলাম না কোথাও রিপাবলিকান দলের উগ্র কোন সমর্থক কারো বাড়ী ঘরে হামলা করেছে বা প্রতিপক্ষ কাউকে মারধর করেছে। এই ঘটনার পর এটাকে ট্রাম্প শিবির যে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাইছে তাও সেই ভোটকে কেন্দ্র করে।
ভোট মানে জনগণের সত্যিকার ভোট ও রায় পাবার জন্যে তারা এই হামলার প্রতিশোধ নিতেও আবার সেই জনগণের কাছেই ফিরে যেতে চাইছেন। গনতন্ত্রের এটাই হলো বড় শিক্ষা। অর্থাৎ জনগণই শেষ কথা। ভায়োলেন্সের জবাব ভায়োলেন্স দিয়ে হয় না। দুরদর্শিতা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
স্কারবোরো, কানাডা