6.2 C
Toronto
শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

বাঙালীরা করবে পিকনিক?

বাঙালীরা করবে পিকনিক?
বাঙালীরা করবে পিকনিক

এতো সেই কিছু ছা- পোষা মানুষজন নিয়ে হুড়োহুড়ি।

এই সব রদ্দিমার্কা পিকনিকে আমি আবার যাই টাই না।তাও আবার সেন্টেনিয়াল কলেজ। বড় কোনও ইউনিভর্সিটি যেমন বাংলাদেশের কোনও নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মেডিক্যাল হলে তাও কথা ছিল। এখনকার সেন্টেনিয়ালের পিকনিকে যেয়ে কি লাভ?

- Advertisement -

ভাইযান, আমি যাই।

আমি যাই কারন যখন বরফ শীতল এই দেশে যেখানে স্বদেশী মানুষের হৃদয় বরফের চেয়েও শীতল সেখানে সেন্টেনিয়াল কলেজে পেয়েছি এমন কিছু মানুষ, এমন কিছু মুহূর্ত আর এমন কিছু অভিজ্ঞতা যা পরে বড় বড় ডিগ্রী কিংবা ডেজিগনেশন পেয়েও ভোলা যায় না।

একটা কথা জিজ্ঞেস করি, আপনার খেনেডিয়ান সন্তানকে একটু জিজ্ঞেস করে দেখেন, বাংলাদেশের যেই অ্যালমনাই এসোসিয়েশন নিয়ে লম্ফ দিচ্ছেন, তার নামটাও ঠিকমত উচ্চারন করতে পারে কিনা। তবে সেন্টেলিয়ালের কথা বললে আপনার সন্তানের মুখ উজ্জল হবে। তার বাবা মায়ের কেনেডিয়ান ডিগ্রী আছে।

সেন্টেনিয়াল অন্টারিওর প্রথম কমিউনিটি কলেজ যা ক্যারিয়ার তৈরী করেছে লক্ষ লক্ষ ছাত্রদের। আপনাদের কি মনে আছে কলেজের সেই আড্ডা, সেই ক্লাস, স্টুডেন্ট সেন্টার, লাইব্রেরী। সেন্টেনিয়াল তৈরী করেছে আমাদের কেনেডিয়ান কাঠামো।
আমাদের পালক মায়ের দেশ কানাডা। সেই মায়ের সাথে যেন মানিয়ে চলতে পারি, নিজেকে একটা পরিচয় দিতে পারি, তা নির্ধারন করেছে সেন্টোনিয়াল কলেজ। আর যেটা সবচেয়ে জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ, তা হল- আমাদের বাংলাদেশি ছাত্রদের মধ্যে একটা কমিউনিটি। আমি কিন্তু সেই কমিউনিটি এখনও বুকে ধারন করি। এখনও যে কোনও প্রয়োজনে কিংবা হুদাই।

যাঁদের সাথে প্রতিদিন দেখা হয়, তাদের সাথে একবেলা খাবার, এবং যাঁদের সাথে অনেকদিন দেখা হয় না তাদের সাথে আড্ডা। আর বাকিদের সাথে খেলাধুলা, কনসার্ট, নাচ, গান এবং খাওন – আহা হ। যেন কলেজের দিনগুলোতে ফেরত যাওয়া।
আমরা আমাদের পিকনিকটা করছি ২০ জুলাই ২০২৪, শনিবার। স্থান এ্যাডামস পার্ক। অত্যন্ত সুন্দর জায়গা, তারচেয়েও সুন্দর মানুষ। আর কি চাই?

টরন্টো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles