
টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীর চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে চাকরি দিতে না পেরে ৩ জনকে হত্যার পর লাশ গুম করেছেন চাকরীচ্যুত সেনা সদস্য মো. কনক। বুধবার সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজ উদ্দিন ফরাজীর আদালতে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বুধবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার গোলাম সবুর প্রেস বিফ্রিং এ তথ্য জানান।
মো. কনক (২৮) টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি দক্ষিনপাড়া গ্রামের তালেব আলীর ছেলে।
পুলিশ সুপার বলেন, জেলার ঘাটাইল, গোপালপুর এবং জামালপুরের ৩ যুবককে সেনাবাহিনীর চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন কনক। পরে কনক ওই তিনকে সেনাবাহিনীর সীল-স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেন। পরে তাদের চাকরিতে প্রেরণ করতে না পেরে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি কনক ও তার সহযোগী সজিবকে সুপরিকল্পিভাবে হত্যা করেন। একই কায়দায় ২ মার্চ আতিক হাসানকে সুকৌশলে মধুপুরের পাহাড়ি এলাকায় আনারস বাগানে নিয়ে তারা গলাটিপে হত্যা করেন। সর্বশেষ ৩ মার্চ রাতে টাঙ্গাইল শহরের আট পুকুরপাড় এলাকায় গলাটিপে হত্যা করা হয় উজ্জলকে। তাদের লাশ গুম করে চাকরীচ্যুত সেনা সদস্য কনক ও তার সহযোগী পালিয়ে যান।
পুলিশ সুপার বলেন, নিহতদের কোন সন্ধান না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা সেনা বাহিনীর কাছে বিষয়টি অবগত করেন। পরে সজিবের পিতা বাদী হয়ে কনকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন। আদালতের নির্দেশে পিটিশনটি ঘাটাইল থানায় মামলা করা হয়। একই সাথে আতিক হাসানের পিতা বাদী হয়ে কনকসহ ৪ জনের নামে গোপালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ঘাটাইল থানা পুলিশ মামলাটি তদন্তকালে জানতে পারে কনক জামালপুর সদর থানার মামলা সংক্রান্তে গ্রেপ্তার হয়ে জামালপুর কারাগারে আটক রয়েছেন। পরে ঘাটাইল থানা পুলিশ আদালতের মাধ্যমে দুইদিনের রিমান্ডে এনে গতকাল মঙ্গলবার কনককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে কনক পুলিশের কাছে ৩ জনের হত্যার কথা স্বীকার করে।