
এখানে শুধু বাতাসের সৌরভ, জলের জলজ ঘ্রাণ।
হাত ধরে হাঁটো-
নরওয়ের ই-৬৯ হাইওয়ে পৃথিবীর শেষ সড়ক!
১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই পথ, এই এভিনিউ
এখানেই থেমে গেছে, সমাপ্তি উত্তর মেরু।
.
উত্তর প্রান্তর পেরিয়ে আরও উত্তরে পৃথিবী শেষ অথবা শুরু দক্ষিণ মেরু।
আসো হাত ধরি, আসো গেয়ে উঠি:
তোমার হলো শুরু আমার হল সারা
.
মানচিত্রের ভাষায়
গোলক ধাঁধায় গোলাকৃতি বস্তুর কোনও অন্ত নেই
এ রাস্তার ওপারে আর কোনও রাস্তা নেই।
দিগন্ত, সাদা বরফ আর উথালপাথাল সমুদ্র আমাদের আনলিমিটেড সম্পর্কের মতো…
বাতাসের সৌরভ, সামুদ্রিক জলের ঘ্রাণ।
.
-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হিমাঙ্কে শীতরাত শেষ হতে চায় না, দিনের পর দিন দেখা দেয় না সূর্য।
[তুমি+আমি=আমরা। আমাদের দুই ঋতু]
গ্রীষ্মে সূর্য ডুবে না ছয় মাস জ্বলতে থাকে দিনরাত
রাতদিন!
তাপমাত্রার পারদ থাকে শূন্য ডিগ্রি ছুঁয়ে ছুঁয়ে।
.
একদিন আমি সিংহল থেকে
একদিন তুমি হেজাজ থেকে
পৃথিবীতে প্রথম পথযাত্রা পদযাত্রা শুরু করেছিলাম এবং আজ
আমরা সর্ব শেষ আদম
আমরা সর্ব শেষ হাওয়া
Last Road of The World
আসো, হাত ধরো। হাঁটি। পৃথিবীর শেষ প্রান্তে।
——-
টরন্টো, কানাডা