10.7 C
Toronto
শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

তাহমিদের লাশেও লাগে গুলি

তাহমিদের লাশেও লাগে গুলি
তাহমিদ ভূঁইয়া তামিম

কোটা সংস্কার আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার নরসিংদী শহরে গুলিবিদ্ধ হয় তাহমিদ ভূঁইয়া তামিম (১৫)। তাহমিদকে উদ্ধার করে পাশের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান আন্দোলনকারীরা। হাসপাতালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পরই তাঁরা লাশ হাসপাতালের স্ট্রেচারে করে আন্দোলনস্থলে নিয়ে আসেন। লাশ সামনে রেখে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে আবার গুলি চালায় পুলিশ। সেই গুলি তাহমিদের মরদেহে লাগে বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা রফিকুল ইসলাম। একই তথ্য জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা।

পল্লিচিকিৎসক বাবা ও গৃহিণী মায়ের তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড় তাহমিদ। নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমসের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন তাহমিদ। ১৩ ও ৩ বছর বয়সী দুটি বোন রয়েছে তাঁর।

- Advertisement -

জানা যায়, তাহমিদদের বাড়ি ঘটনাস্থল (জেলাখানার মোড়) থেকে ৩০০ গজ দূরে, সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামে। ঘটনার দিন পরিবারের সবাই একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান। বিশ্রামের জন্য বিছানায় শুয়ে তাহমিদ ও তার ছোট বোন লিনাত (১৩) মুঠোফোন নিয়ে খেলছিল। একপর্যায়ে তাহমিদ ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় মা রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। পাশের ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন বাবা।

স্ট্রেচারে করে আনা তাহমিদের মরদেহে যখন আবার পুলিশের গুলি লাগে তখন ১০০ গজ দূরে ছিলেন বাবা রফিকুল ইসলাম। এই দৃশ্য অসহায়ের মতো দেখছিলেন তিনি। রফিকুল চিৎকার করতে থাকলে আন্দোলনকারীরা তাঁকে মসজিদের ভেতরে টেনে নিয়ে যান।

গোলাগুলি কিছুটা কমলে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় তাহমিদের লাশ নিয়ে বাড়িতে ফেরেন রফিকুল। ছেলের বিদ্যালয় ও স্থানীয় ঈদগাহে দুই দফা জানাজা শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়াই চিনিশপুর কবরস্থানে লাশ বৃহস্পতিবার রাতেই দাফন করা হয়।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles