
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানিয়েছেন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। আজ রবিবার রাতে ডিবি কার্যালয় থেকে এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার এবং নুসরাত তাবাসসুমকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অদ্ভুত পরিস্থিতিতে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত এবং নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানান সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধান দাবি কোটার যৌক্তিক সংস্কার, যা সরকার ইতিমধ্যে পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার্থে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে এই মুহূর্ত থেকে আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।
তবে এখন পর্যন্ত অন্যান্য সমন্বয়কদের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। ভিডিও বার্তার আগে তাদেরকে ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশিদ আপ্যায়ন করেন। এ সংক্রান্ত ছবিসহ ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ডিবিপ্রধান লিখেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সাথে কথা বললাম। কি কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে! ওদের কথা শুনে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের নানা পরিকল্পনার কথা জানানোর পর তাদের উদ্বেগ দূর হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টিম ডিবি ডিএমপি বদ্ধপরিকর।