16.1 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

ডিবি হারুনের কাছে সোহেল তাজের ৩ প্রশ্ন

ডিবি হারুনের কাছে সোহেল তাজের ৩ প্রশ্ন - the Bengali Times
তানজিম আহমদ সোহেল তাজ

কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আজ সোমবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যান সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। প্রায় দেড় ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন তিনি।

এ সময় সোহেল তাজ ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের কাছে তিনটি প্রশ্ন জানতে চান। তার প্রথম প্রশ্ন- যে ছয়জন সমন্বয়ককে আনা হয়েছে তাদের গ্রেফতার নাকি সেইভ কাস্টডিতে নেওয়া হয়েছে? দ্বিতীয় প্রশ্ন- যদি গ্রেফতার হয়ে থাকে তাহলে আমার কোনো প্রশ্ন নেই, দাবি নেই। যদি সেইভ কাস্টডিতে নেওয়া হয় তবে আমি দেখা করতে চাই। তৃতীয় প্রশ্ন- তাদের সেইভ কাস্টডি থেকে কখন মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু তার কোনো প্রশ্নেরই সন্তোষজনক জবাব পাননি সোহেল তাজ।

- Advertisement -

‘এ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কথা বলে ডিবিপ্রধান জানান, ছয়জন সমন্বয়ক যেহেতু তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন সেহেতু সেইভ কাস্টগিতে নেওয়া হয়েছে।’ বলেন সোহেল তাজ।

তিনি আরও বলেন, আমি তাকে পাল্টা প্রশ্ন করি ছয় সমন্বয়ক তাদের নিরাপত্তা নিয়ে কীভাবে উদ্বিগ্ন? তারা (সমন্বয়ক) কি আপনাদের জানিয়েছিলেন? ডিবিপ্রধান জবাবে জানান, তাদের মনিটরিং করে বুঝতে পেরেছেন সমন্বয়করা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরপর আমি ছয় সমন্বয়কের সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেই ডিবিপ্রধানকে। আমাকে জানানো হয়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পারমিশন নিয়ে আমাকে তাদের সঙ্গে দেখা করতে হবে।

ডিবি কার্যালয়ে আসার কারণ ব্যাখ্যা করে সোহেল তাজ বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে দেশে অশান্তি বিরাজ করছে। এখানে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। নিরীহ পাঁচ বছরের বাচ্চা থেকে শুরু করে ৮–১০–১৫–১৬ বছরের ছাত্র, সাধারণ মানুষসহ অনেক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এটা আমাদের সবাইকে আহত করেছে। আমাদের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। এই বিবেকের কারণেই ব্যক্তিগতভাবে ডিবি অফিসে এসেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ছাত্র আন্দোলন ঘিরে যেসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা কিছুই নয়। ক্ষয়ক্ষতি কোনো বিষয় নয়। যে সম্পদ ধ্বংস হয়েছে, সেগুলো তো জনগণের করের টাকায় করা হয়েছে। এগুলো জনগণের সম্পদ। এগুলো হয়তো ভবিষ্যতে আবার গড়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু একটি প্রাণ যেটা আমরা হারিয়েছি, একটি প্রাণও কি আমরা ফেরত পাব? এই প্রাণ কি ফিরে আসবে? আমাদের মনে রাখতে হবে, মুখ্য জিনিসটা কী? প্রাণের মূল্য কিন্তু কোটি কোটি টাকার চেয়ে অনেক বেশি।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles