
আমি আমার কাজটাই করেছি, আলাদা কিছু করিনি। কেউ যদি নিজের প্রফেশনে সৎ থাকেন থাকেন তাহলে এটা আলাদা কিছুই নয় বলে আমার ধারণা। যেটা হয়েছে একটা বিষয় ভাইরাল হয়েছে- ফলে সকলেই মনে করছেন আমার ইন্টারভিউ নেওয়া উচিত। কিন্তু আমি মনে করি এই সময় আসলে ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় নয়। এটা এমন একটা সময় এখন সকলেরই মন খারাপ।
মঙ্গলবার দুপুরে দেশ রূপান্তরের সঙ্গে এক আলাপনে বলছিলেন দীপ্তি চৌধুরী। যিনি টকশোতে উপস্থাপনা করে সম্প্রতি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টক শোতে কথা বলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও বিএনপি নেতা গোলাম মাওলা রনি।
ক্যানসার নিয়েই ১৩ বছর গান, অনুষ্ঠান করে গেছেন জুয়েল ক্যানসার নিয়েই ১৩ বছর গান, অনুষ্ঠান করে গেছেন জুয়েল
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী। প্রায় ৪৯ মিনিট পর্বের এই টক শোতে শুরু থেকেই বেশ বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা, উপস্থাপনা, ধৈর্য ও বাচনভঙ্গির কারণে প্রশংসায় ভেসেছেন তিনি।
দীপ্তি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক করছেন। ২০১৬ সালে চ্যানেল আইয়ের ‘স্বর্ণ কিশোরী’ নামের একটি অনুষ্ঠান দিয়ে উপস্থাপনা শুরু তার। এরপর চ্যানেলটির তারকা কথনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করতে দেখা গেছে।
দীপ্তি বলেন, ‘আমি যখন ইন্টারমিডিয়েটে পড়ি, ২০১৬ সাল থেকে উপস্থাপনা করছি। তবে পুরো পেশাদারভাবে উপস্থাপনা করছি আরো পরে। চ্যানেল আইয়ে। এই অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনার পরে প্রচুর ফোনকল, মেসেজ পেয়েছি। আপনাদের গণমাধ্যমকর্মীরাও আমাকে ফোন দিয়েছেন। আমি সবিনয়ে বলেছি এখন ইন্টারভিউ দেব না, পরে এ বিষয়ে কথা হবে। তারা তারপরেও সংবাদ করেছেন, সেটা তারা করতেই পারেন। কিন্তু এখন আনন্দচিত্তে ইন্টারভিউ দেব না।’
দীপ্তি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমি বোল্ড নই কিংবা শক্তিশালী নই, তা কিন্তু নয় আমার ধৈর্যশক্তিও আছে। আমার মনে হয়েছে, শক্তিশালী কথা চিৎকার করে না বললেও সেটা শক্তিশালী। আর যদি কথাটি দূর্বল হয়, তাহলে চিৎকার করলেও সেটা দূর্বলই থেকে যায়।’