
পূর্ব লন্ডনের পপলারে বাংলাদেশি স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ গুম করায় আমিনান রহমান নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন লন্ডনের একটি আদালত। স্ত্রীর প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে তাঁকে হত্যা করে মরদেহ সুটকেসে ভরে টেমস নদীতে ফেলে দেন স্বামী আমিনান রহমান। এর ১০ দিন পর নদী থেকে মরদেহের অংশ উদ্ধার হলে নিখোঁজ সোমা বেগমের মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ।
হত্যার আগে ২৪ বছর বয়সী সুমা বেগমকে কীভাবে প্রতারনা, আর্থিকভাবে নিয়ন্ত্রন এবং লাঞ্ছিত করতেন ৪৬ বছর বয়সী আমিনান রহমান সেটা উঠে আসে লন্ডনের ওল্ড বেইলি কোর্টের শুনানীতে। সোমা বেগমের প্রেমিক সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে সোমার মৃত্যুর দৃশ্য দেখেছিলেন বলে আদালতে উল্লেখ করা হয়। তাঁর মরদেহ সুটকেসে ঢোকানোর দৃশ্যও একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেই ফুটেজের মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারে পুলিশ।
সোমা বেগম দুই বছরের এক ছেলে ও দুই মাসের এক কন্যা সন্তানের জননী। সন্তানরা বর্তমানে ব্রিটিশ সরকারের স্যোশাল সার্ভিসের হেফাজতে রয়েছে। সোমা বেগম সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার মামুনপুর গ্রামের মৃত ঠাকুর মিয়ার মেয়ে।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, চার বছর আগে চুক্তি করে সোমা বেগমকে ব্রিটেনে নিয়ে আসেন আমিনান রহমান। সোমা বেগমের পারিবারিক সূত্র জানায়, ঘাতক স্বামী চার বছর আগে চুক্তি করে সোমা বেগমকে ব্রিটেনে নিয়ে আসে। তার তালতো বোন ছিলেন সোমা। আমিনানের ব্রিটেনে বসবাসের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় অন্য ব্যক্তির স্ত্রী বানিয়ে সোমাকে ব্রিটেনে নিয়ে আসে। কিন্তু বয়সের পার্থক্যের কারণে তাদের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। সোমা বেগম অন্য ব্যক্তির স্ত্রী হিসেবে ব্রিটেনে আসায় আমিনের সঙ্গে তার বিয়ে স্থানীয় আইনসিদ্ধ ছিল না। নিবন্ধনের সুযোগ না থাকায় সোমা বেগমকে মসজিদে নিয়ে বিয়ে করে সে। নিহত সোমা বেগমের এক স্বজন সাবেরিন বেগম জানান, সোমা খুব ভালো একজন মেয়ে ও মা ছিলেন।