2.9 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

কাদের ও কামালকে ক্ষমা চাইতে বললেন যশোরের এমপি আজিজুল

কাদের ও কামালকে ক্ষমা চাইতে বললেন যশোরের এমপি আজিজুল - the Bengali Times
যশোর ৬ আসনের এমপি আজিজুল ইসলাম ফাইল ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত সারা দেশ। সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন নানান অঙ্গনের মানুষ। এবার সংকট নিরসনে নিজের ভাবনা তুলে ধরেছেন যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য আজিজুল ইসলাম। তিনি মনে করেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ক্ষমা চাওয়া উচিত।

আজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক আইডিতে তিনি তাঁর অভিমত ব্যক্ত করেন। তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো—

- Advertisement -

‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনের কষ্ট দূর করতে এই মুহূর্তে করণীয় কি?

যেভাবে চলছে তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লেগে যাওয়ার কথা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার কোনো সলিউশন হতে পারে না। আমি মনে করি, যে সকল শিক্ষার্থীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নাই, তাঁদের গ্রেপ্তার করাটা অযৌক্তিক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাইলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধরপাকড় করাটা মোটেও সুখকর হবে না। বরং এই মুহূর্তে সরকারের উচিত হবে, যে সকল সাধারণ শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়েছে সেই সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসি মহোদয়, শিক্ষামন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, রাষ্ট্রের সর্বজন মান্য কিছু অভিভাবক, আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক এবং জাতীয় অধ্যাপকদের নিয়ে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিস্থিতি ফেরাতে একটা সর্বজনীন ডায়ালগের ব্যবস্থা করা। শিক্ষার্থীদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ প্রশমিত করতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দেখানোই হবে এখন সময়ের সেরা সিদ্ধান্ত। একটা পক্ষতো চাচ্ছেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাঁধে বন্দুক রেখে সরকার পতন করতে। দুষ্কৃতকারীদের সেই সুযোগও নষ্ট হবে এ রকম কিছু করলে। সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় যে দুজন লোকের ওপর শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ সেই ওবায়দুল কাদের সাহেব এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এখনো সেভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে দেখলাম না। অবশ্যই সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তাঁদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। এতগুলো তাজা প্রাণ চলে গেছে। দায়িত্বশীলরা শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইলে দোষের কিছু দেখি না। দায়িত্বশীলদের দায়িত্বও যেমন নিতে হয়, তেমনিভাবে দায়ও নিতে হয়। একটা দেশ এ রকম অচলাবস্থায় থাকতে পারে না। দেশ ও দশের মঙ্গলের জন্য রাষ্ট্রকেই এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনের ক্ষোভ প্রশমনে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। বিষয়টি যেহেতু কোনো রাজনৈতিক দলের নয় সেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয়দের এখানে যথাযথ ভূমিকা রাখা উচিত। আর শিক্ষার্থীদের দিক যদি আমাদের ভিসিরা দেখতে ব্যর্থ হন আমি মনে করি না তাঁদের ওই পদে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার আছে। দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষেরা শান্তি চায়। আর কোনো হানাহানি দেখতে চায় না। গত ২-৩ সপ্তাহে দেশ যতটুকু পিছিয়ে গেছে আর পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। সকলের মধ্যে শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। দেশে শান্তি ফিরে আসুক।’

এ বিষয়ে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য আজিজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্ট্যাটাসটি নিজের বলে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের পাশে রয়েছি।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles