
ফেসবুকের পাতা জুড়ে শুধু লা**শের গন্ধ। আহ্! আর পারা যায় না। আর দেখা যাচ্ছে না। কতো-কতো করুণ কাহিনী। কেউ তার একমাত্র ভাই হারানোর বেদনার কথা লিখেছেন। কেউ তার জীবনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুটার কথা লিখেছেন, কোনো মা আঁচড়ে পড়ছেন একমাত্র ছেলের লা**শের ক**ফিনের ওপরে। অসংখ্য তাজা প্রাণ হারিয়ে গেছে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে প্রাণগুলো। সুস্থ মস্তিষ্কে একেক জন ছাত্র-যুবক-তরুণের বুকে, মাথায় বু**/লে**ট মারা হয়েছে টার্গেট করে।
এই ছাত্রদের কোনো অপরাধ ছিল না। আন্দোলনের সময় ছিল না তাদের হাতে কোনো তী**র-ধ**ু**ক–ব**ন্দু**ক।
মুহূর্তে সব তাজা প্রাণের শহীদ হয়ে র**ক্তা**ক্ত হয়ে গেল নতুন এক ইতিহাস। এই করুণ ইতিহাস মানুষ আগে কখনোই দেখে নি। পৃথিবীর কোনো দেশেই এভাবে তরুণ ছাত্রদের ওপরে বৃষ্টির মতো সরাসরি টার্গেট করে গু**লি করে হ*//**ত্য*া করা হয়েছে কিনা তা কারোর জানা আছে?
শুধু অধিকার চেয়ে রাস্তায় নেমেছিল তারা। কেন তাদের গু**লি করে প্রাণ কেড়ে নেওয়া হলো?
তাদের অন্যভাবেও তো শান্ত করা যেত। আলোচনায় বসা যেত। তাদের দাবী-দাবার গুরুত্ব দেওয়া যেত। কিছুটা মেনে নেওয়াও তো যেত।
কিন্তু না। সেসবের তোয়াক্কা না করে জনগণের টাকায় খেয়ে-পরে বেঁচে থাকা একদল পাষন্ড পুলিশ ঠাশ-ঠুশ করতে লাগল গু**লি। টার্গেট কারোর মিস হয় নি।
একের পর এক মেধাবীর লা***শ পড়তে লাগল। খালি হয়ে গেল মায়ের কোল। ধ্বং*স হলো মেধা। শেষ হলো মেধাবীরা।
আমি কোনো দলের না। কোনো দলের পক্ষে-বিপক্ষে না। কিন্তু এ ধরণের অন্যায় কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না।
এসব দেখে খুব সুন্দর করে যারা স্ট্যাটাস দিচ্ছেন “সহিংসতা কাম্য নয়” তারা আসলে কী?
একটা র***ক্তা**ক্ত ইতিহাস এসে যখন আপনার চোখের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে তখনও কি নিজেকে নিউট্রাল লাইনে রাখতে হবে?
নিউট্রাল লাইন হচ্ছে একটি নিরোপক্ষ পরিবাহি। নিউট্রাল লাইনে কোন ধরনের কারেন্ট ও ভোল্টেজ থাকে না।
এখন প্রতিটা হৃদয় ক্ষত হওয়া মানুষের ক্ষোভ হলো
কী দূর্ভাগ্যে জন্ম এ দেশে
যে দেশে প্রাণ কেড়ে নেয় হেসে-হেসে!
আল্লাহ আপনাদের সাহায্য করুন।
টরন্টো, কানাডা