
একের পর এক কংগ্রেস নেতা-নেত্রীকে নিজের দলে ভেড়াচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে দূরত্ব বাড়ছে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। আবার একইভাবে চড়া হচ্ছে তার বিজেপিবিরোধী সুর।
বিজেপি আর কংগ্রেসকে খেলা দেখাচ্ছেন মমতা!
২০২৪ সালে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকটি রাজ্যে তৃণমূল শুধু রাজনৈতিক শাখা বিস্তার নয়; বরং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রভাবশালী নেতৃত্বের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্ব দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে জোর লড়াইয়ে নামারও ইঙ্গিত দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী।
দিল্লি সফরের প্রথম দিন থেকেই একের পর এক কংগ্রেস নেতা, সঙ্গীত শিল্পী এবং বিজেপিবিরোধী রাজনৈতিক মঞ্চের নেতাদের নিজের দলে যুক্ত করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু বিজেপি বিরোধী নয়, এখন বিজেপির অনেক বিক্ষুব্ধ নেতাকেই মমতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে দেখা যাচ্ছে। এর প্রমাণ মিলল, মোদির সঙ্গে বৈঠক করার মাত্র ঘণ্টাখানেক আগে বিজেপির প্রবীণ সদস্য সুব্রমানিয়ম স্বামী যখন নিজে গিয়ে মমতার সঙ্গে দেখা করেন এবং তার পাশে থাকার ইঙ্গিত দেন।
এর আগে মঙ্গলবার কীর্তি আজাদ, পবন বর্মা এবং অশোক তনওয়ারের মতো বিজেপি বিরোধী নেতাদের নিজের দলে যুক্ত করেন মমতা। এবার আরও বড় মাস্টার স্ট্রোক দিলেন মেঘালয়ের ১২ বিধায়কসহ সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমাওকে নিজের দলে যুক্ত করে পাবর্ত্য রাজ্য মেঘালয়ের শক্ত জমি তৈরি করলেন মমতা। রাজ্যটির বিধানসভায় ১৮ জন কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন। কংগ্রেস ছেড়ে ১২ জন বিধায়কই মমতার দলে নাম লেখানোয় সেখানে প্রধান বিরোধি দলের আসনে বসবে তৃণমূলই। ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভা বিজেপির দখলে।
মমতার সফরের শেষ চতুর্থ দিনেও দিল্লির বড় কোনো রাজনৈতিক নেতাকে তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা যেতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।