
২০১০ সালের নভেম্বরের ১৯ তারিখে টরন্টোতে ‘Canadian Health Information Management Association(CHIMA)’ আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছি।আমি CHIMA এর একজন সদস্য। সম্মেলন স্থানে প্রবেশের মুখে দেখলাম ছোট খাটো লটারীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে Fund Raise করা এবং বিনোদনের জন্য। আগতরা এক এক করে খেলছেন।
মৃদু শীত, চকে চকে রোদের মধ্যে দাড়িয়ে।লটারীতে আমার কোন বিশ্বাস নেই তাই দাঁড়িয়ে দেখছি।হঠাৎ নজর পড়লো সুন্দর একটি পানির পাত্রের দিকে।ষ্টীলের তৈরী পাত্রটি দেখতে চমৎকার। আমার একটু লোভ হ’ল সেটা দেখে।লটারী পরিচালনাকারী মেয়েটিকে বললাম-লটারীর জন্য প্রয়োজনীয় ডলার তুমি নিয়ে নাও, আমি লটারী খেললে পানির পাত্রটি পাব না কিন্ত্ত সেটি আমার খুব পচ্ছন্দ তাই ঐটি আমাকে দিয়ে দাও।
মেয়েটি মাথা নেড়ে অসম্মতি জানালো। বললো-না তোমাকে লটারী খেলতে হবে।যুক্তি দিলাম, বললাম- কেউ না কেউ তো লটারী জিতে পাত্রটি পাবে। ধরো আমিই জিতেছি।কানাডিয়ানরা নীতিবান।মেয়েটি কোন মতেই রাজী নয় এই কাজটি করতে।সততা আর দেশপ্রেমের বিষয়টি আমিও জানি এবং একজন কানাডিয়ান হিসাবে সে সবের প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধাবোধও আছে।তাই আর অনুরোধ না করে লটারীর চাকতিটি ঘুরিয়ে দিলাম।চাকতি ঘুরছে আমি দেখছি।
মনে মনে আমিও ঘুরছি ঐ পাত্রের আশপাশ দিয়ে। অবশেষে চাকতি থামলো। এবার দেখলাম মেয়েটি চোখ বড় বড় করে আমাকে দেখছে কারন চাকতির ইনডিকেটরটি পানির পাত্রের উপর এসে থেমে গেছে। এবার তাকে বললাম-দেখেছো, তোমাকে বললাম পাত্রটি দিলে না, এখন বুঝেছো আমি জাদু জানি।
আবার যদি লটারী খেলি তাহলে যেটি পচ্ছন্দ করবো সেটিই জীতবো। লটারীর আয়োজন করা হয়েছে ফান্ড উঠানোর জন্য তাই দুবার তিনবার খেলার জন্য কোন বিধি নিষেধ নেই।তারপরও মেয়েটি নিষেধ করে বললো-তুমি আর খেলতে পারবে না।আমি লটারীজিতা পাত্রটি নিয়ে সম্মেলন স্থলে প্রবেশ করলাম।
ইয়েলোনাইফ, কানাডা