
রাজহাঁস, খরগোশ, মাছসহ গণভবন থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গণভবনের পার্সি বিড়ালও। এর পর ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল বিড়ালটিকে। অবশেষে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) তাকে ফিরিয়ে এনেছে। এছাড়া গণভবনে ফিরেছে জার্মান শেফার্ড কুকুরও।
ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে ‘অভয়ারণ্য’ নামে একটি সংগঠনটি জানিয়েছে, গণভবনের বিড়ালটিকে ফেরানো হয়েছে গণভবনে। জার্মান শেফার্ড কুকুরটিকেও ফেরানো হয়েছে। শাম্মি ইসলাম নীলা নামে এক নারীর কাছে ছিল সেটি। সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল, গলায় চেন দিয়ে টেনেহিঁচড়ে গণভবন থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেই কুকুরকে।
সংগঠনটির তরফে জানানো হয়েছে, যে সব পশুপাখি গণভবন থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাদের ফেরানোর চেষ্টা করছে তারা। শুধু তাই নয়, ওই পশুপাখিদের যাতে যত্ন হয়, সেদিকেও নজর দিয়েছে তারা।
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, গণভবনে ওই পশুপাখিদের যিনি যত্ন নিতেন, তাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। প্রয়োজনে পশুপাখিদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। যারা গণভবন থেকে পশুপাখি নিয়ে গেছেন, তাদের অবিলম্বে সেগুলো ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেছে সংগঠন। গণভবনের ফটকে রক্ষীর হাতে সেগুলো তুলে দিতে বলা হয়েছে। যারা নিজেরা গণভবনে যেতে চান না, তাদের কাছ থেকে এই সংগঠনের সদস্যরা পশুপাখি সংগ্রহ করে ফিরিয়ে দেবে। একটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনের জেরে সোমবার দেশ ছাড়েন হাসিনা। তারপরই তার বাসভবনে ঢুকে পড়েন বহু মানুষজন। তারা হাতের কাছে যা পান তাই নিয়ে চলে যান। তাদের থেকে রক্ষা পায়নি গণভবনের চত্বরে ঘুরে বেড়ানো পশুপাখি। রাজহাঁস, খরগোশ, ছাগল, বিড়াল কাঁধে, কোলে তুলে অনেককেই বের হতে দেখা গিয়েছে। সেই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন পশুপ্রেমীরা। তার পর অনেকেই ফিরিয়ে দিয়েছেন গণভবনের কিছু পোষা প্রাণী।