
অনেকদিন আগে লিখেছিলাম, আজ আবারও লিখছি। কুমন নামে একটা লার্নিং সেন্টার আছে কানাডায়। ক্লাস ওয়ান থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বাচ্চাদের সেখানে অংক ও ইংরেজী রিডিং এ দক্ষতা অর্জন করানো হয়। আমার ছেলেকে সেখানে যখন প্রথম ভর্তি করতে নিয়ে গেলাম, দরজার সাথে একটা ছবি দেখে অবাক হলাম।
ছোট একটা বাচ্চার ছবি দিয়ে ক্যাপশন দেয়া হয়েছে, “আমি একদিন কানাডার প্রধানমন্ত্রী হতে চাই”! ঐ ছবিটা দেখে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে বলেছিলাম. কানাডায় গনতন্ত্র আছে বলেই যে কেউ এই দেশের একদিন প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে কি কোন কৃষক, শ্রমিক বা কুলি মজুরের সন্তান স্বপ্ন দেখতে পারে যে সে একদিন ঐ দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে? প্রধানমন্ত্রী হওয়াতো দুরের কথা বৈষম্যহীনভাবে সরকারী চাকুরী পেতেও আজ বুকের রক্ত ঢেলে দিতে হয় দেশের ছাত্র সমাজকে।
কাজেই আজ ঢাকার দেয়ালে এই বক্তব্যটা দেখে আজ মনে হলো আমিতো এই বক্তব্যটাই দিয়ে আসছি বহু বছর ধরে। আজ দেশের ছাত্র জনতা বুকের রক্ত দিয়ে যে বৈষম্যহীন সমাজ কায়েম করতে স্বৈরাচার হটিয়েছে তা রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। পরিবারতন্ত্র গনতন্ত্রের অন্যতম প্রধান শত্রু।
পরিবারতন্ত্র কবর দিন, গনতন্ত্র কায়েম করুন, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলুন। ভিআইপি প্রথা বিলোপ করুন। আজ দিন এসেছে দিন বদলের। এক স্বৈরাচারকে বিদায় করে নুতন কোন স্বৈরাচার যাতে না আসতে পারে তার জন্যে দরকার রাষ্ট্র সংস্কার। ডক্টর ইউনুসের নেতৃত্বে দেশের ছাত্র সমাজের হাতের নাগালে চলে এসেছে সেই সমাজ কায়েমের যে সমাজে একজন রিক্সাওয়ালার ছেলে মেয়েও যেন হাতের তর্জনী উঁচিয়ে বলতে পারে, ‘আই ওয়ান্ট টু বি এ্যা প্রাইম মিনিষ্টার অব বাংলাদেশ ওয়ান ডে’!
স্কারবোরো, কানাডা