
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ নামে এক দোকানিকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকালে তাদের আদালতে হাজির করার সময় ও শুনানি শেষে নেওয়ার পথে এসব ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন আইনজীবী দীপু মনির গায়ে থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি দেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, দীপু ও জয়কে যখন সিএমএম আদালতের গেট দিয়ে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে আসা হচ্ছিল, তখন এক ব্যক্তি রাস্তায় শুয়ে পড়েন। এ সময় তিনি দীপু মনির ফাঁসি দাবি করেন। পরে সেখান থেকে উঠে যান। তাদের নিয়ে গাড়ি চলে যায় সিএমএম আদালতের হাজতখানায়।
বেলা পৌনে ৪টার দিকে তাদের এজলাসে তোলার জন্য হাজতখানা থেকে নিয়ে আসা হয়। তাদের মাথায় হেলমেট পরা ছিল। আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে তাদের এজলাসে তুলতে বেগ পেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। অনেক ধাক্কাধাক্কি করে তাদের আদালতের দ্বিতীয় তলায় তোলা হয়। এ সময় কয়েকজন আইনজীবী দীপু মনিকে থাপ্পড় মারেন। পরে তাদের এজলাসে তোলা হয়। এদিকে ক্লান্ত দীপু মনি আদালতে এসে পুলিশ সদস্যদের কাছে পানি পান করতে চান। তবে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়ে যাওয়ায় তাকে আর পানি খেতে দেওয়া হয়নি।
শুনানি শেষে দীপু মনি ও জয়কে নিচে নামানো হয়। এরই মাঝে তাদের কিল-ঘুষি মারেন আইনজীবীরা। তখন দীপু মনি চিৎকার করে ওঠেন। আর জয় তাকিয়ে দেখেন। পরে নামানোর সময় ধাক্কাধাক্কিতে সিঁড়ি থেকে পড়ে যান দীপু মনি। এক নারী পুলিশ সদস্যও পড়ে যান তার সঙ্গে। পরে দ্রুত তাদের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গতকাল ১৯ আগস্ট রাতে সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে রাজধানীর গুলশানের বারিধারা ডিওএইচএস এলাকা থেকে আটক করে ডিবি গুলশান বিভাগের একটি দল। তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর ও ঢাকায় মামলা রয়েছে। রাতেই তাকে মোহাম্মদপুর থানার এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে ওই দিন রাতেই রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাকেও মোহাম্মদপুর থানায় করা এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।