0.2 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫

হাউন আঙ্কেল মুক্তিযোদ্ধার নাতি!

হাউন আঙ্কেল মুক্তিযোদ্ধার নাতি!
কয়েকটা দৈনিককে হাউন আঙ্কেলের দুর্নীতি ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাতি সেজে ২০ তম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশের চাকরি বাগিয়ে নেওয়ার খবর উঠে আসে

জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন হয়েছিল কোটা সংস্কারকে ঘিরে। অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা কোটা কমিয়ে মেধার বিচারে চাকরি হোক এটাই ছিল ছাত্রদের দাবি। কিন্তু সাবেক স্বৈরাচারী হাসিনা বলেন “মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতি চাকরি পাবে না, তো রাজাকারের নাতিপুতি পাবে?”

তার এই মন্তব্যে সারা দেশ উত্তাল হয়ে পড়ে ও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা জীবন বাঁচাতে মাত্র ৪৫ মিনিটের নোটিশে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে মোদির আশ্রয়ে গিয়ে ওঠেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো সেখানেই আছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

- Advertisement -

এখন আসি মূল কথায়। যে মুক্তিযোদ্ধার নাতি নিয়ে এত কথা, এত যুদ্ধ সেই মুক্তিযোদ্ধার নকল নাতি সেজেছেন নাকি সাবেক ডিবি প্রধান হাউন আঙ্কেল। অথচ ওনার বাবা ছিলেন না মুক্তিযোদ্ধা আর দাদাও ছিলেন না মুক্তিযোদ্ধা।

কয়েকটা দৈনিককে হাউন আঙ্কেলের দুর্নীতি ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাতি সেজে ২০ তম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশের চাকরি বাগিয়ে নেওয়ার খবর উঠে আসে। কিন্তু ওনার বাবা-দাদা কেউই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।

তবে হাউন আঙ্কেলকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ফাইন করে বসিয়ে দেওয়া হয় ১৯৯৬ সালে আম্লিক ক্ষমতায় আসার পরে।

বিভিন্ন পত্রিকার নিউজের তথ্যমতে তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার জনাব আব্দুল হামিদের বিশেষ প্রভাবে মুক্তিযুদ্ধের ‘ম’ না জানা হাউনের পিতাকে মুক্তিযোদ্ধার আসনে বসিয়ে দেওয়া হয়। ব্যাস হাউনও সেই খাতিরে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বনাম নাতি হয়ে এক লাফে সুপারি গাছে উঠে পড়েন পুলিশের চাকরি নিয়ে।

সুপারি গাছ থেকে তিনি লাফাইতে লাফাইতে এক্কেবারে দুর্নীতির পর্বত শৃঙ্গে উঠে পড়েন। পরে বিভিন্ন কু*কীর্তি ও মানুষের নির্যাত*ন করে হাসিনা আপির প্রিয় মানুষের স্থানে অধিষ্ঠিত হন হাউন।

জানা গেছে তাহার গ্রামের বাড়িতে শতশত কোটি টাকায় তৈরিও করে ফেলেছেন একটা “প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট’। কিশোরগঞ্জে মিঠামন উপজেলা হোসেনপুর গ্রামে ৪০ একর জমিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকরি পাওয়া এই হাউন আঙ্কেল প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট নামের এই বিশাল প্রমোদনগর তৈরি করেছেন। যার অধিকাংশ জমি মানুষের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া। সম্পূর্ণ দ্বীপের মধ্যমণি হয়ে ভেসে থাকে হাউনের এই রিসোর্ট। এই বিলাসবহুল রিসোর্টের কাছে যেকোনো উন্নত বিশ্বের রিসোর্টও হার মেনে যাবে অনায়াসে। বুঝুন ঘটনা।
মুক্তিযোদ্ধার কোটার কী পাওয়ার ভাইরে!

জানা গেছে এই বাঘের পাওয়ারে থাকা হাউন তার নেত্রীর পালানোর পর নিজের জীবন বাঁচানোর তাগিদে চারিদিকে ছুটাছুটি করতে থাকেন ইদুরের মতো।

এক সময় অন্যদের সঙ্গে পুলিশ কোয়ার্টারের দেওয়াল বেয়ে নিচে নামতে গিয়ে পড়ে যান ধপাশ করে। পায়ে ও হাঁটুতে চরম ব্যথা পান। পরে নাকি তিনি কোনো একটা হাসপাতালে শুয়ে দোয়া পড়ে জীবনের নিরাপত্তা কামনা করছেন। তবে তিনি কোথায় আছেন সেসব এখনো কেউ জানেন না এমনটাও শোনা যাচ্ছে অন্য খবরে।

হাউন আঙ্কেলের শতশত হাজার কোটি টাকা তার মান ইজ্জত বাঁচাতে পারে নি। ভালো মানুষকে চোরের মতো ধরে এনে নিজের অফিসের পেছনে আয়নাঘরে রেখে নির্যাত*ন করা এই বাঘের পাওয়ারে থাকা মানুষটা আজ নিজেই ফেরারী। এটাই আল্লাহ বিচার।
আল্লাহ আপনাদের নিরাপদ রাখুন।

টরন্টো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles