
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ফেডারেল সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিতে রাশ টানার প্রতিশ্রুতি দিল লিবারেল সরকার।
অক্টোবরে মূল্যস্ফীতির হার গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। বাড়ির মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি জ্বালানি ও গ্রোসারি পণ্যের উচ্চমূল্যের কারণেই মূলত মূল্যস্ফীতির এ উচ্চ হার। এছাড়া বৈশি^ক সরবরাহ ব্যবস্থায় সংকটের কারণে ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তৃতীয় মেয়াদে লিবারেল সরকারের অগ্রাধিকার নিয়ে তৈরি মঙ্গলবারের থ্রন স্পিচে মূল্যস্ফীতি যে সারাবিশে^ই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটি উল্লেখ করা হয়। তবে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি যে অবশ্যই রুখতে হবে সেটিও উল্লেখ করা হয় বক্তব্যে। পাশাপাশি চাইল্ড কেয়ার ও আবাসনের ব্যাপারে নির্বাচনী প্রচারণার সময় লিবারেল পার্টির দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ব্যবসায় গোষ্ঠী ও বিরোধী দলের দাবির সবকিছু নেই বক্তব্যে।
পর্যটেনের মতো যেসব খাত এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সেসব খাতের সহায়তায় হাউস অব কমন্সে একটি বিল আনতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। লকডাউনের কারণে বেকার হওয়া শ্রমিকদের সহায়তার বিষয়টিও থাকবে বলে বিলে।
দক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সরকার যে সুনির্দিষ্ট সহায়তা কর্মসূচির পথে হাঁটতে চাইছে সেটিও উল্লেখ করা হয়েছে থ্রন স্পিচে। মঙ্গলবারের থ্রন স্পিচের আগে কনজার্ভেটিভ ফাইন্যান্স ক্রিটিক পিয়েরে পয়লিয়েভর বলেন, তার দল লিবারেল সরকারের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তার প্রতি সমর্থন জানাতে পারে। তবে পরিকল্পিত ১০ হাজার কোটি ডলারের প্রণোদনা কর্মসূচিতে সমর্থন দেবে না।
তিনি বলেন, মহামারি পূর্ববর্তী ব্যয়ে আমাদের ফিরে যাওয়া উচিত বলে আমাদের বিশ্বাস। কোভিডের আগে ছিল না এমন নতুন, স্থায়ী ও মাল্টিবিলিয়ন ডলারের কর্মসূচির প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না।
এ বছরের শেষ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতির উচ্চ হার বিদ্যমান থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যাংক অব কানাডা ২০২২ সালে ২ শতাংশেল যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তারও উপরেই থাকবে মূল্যস্ফীতির হার।