
যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। সম্প্রতি মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে যৌন হেনস্থার ঘটনা নিয়ে ‘হেমা কমিশন’ একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। উঠে এসেছে নির্যাতিতা অভিনেত্রীর অভিজ্ঞতার কথা। সেই একই অভিজ্ঞতা হয়েছে ঋতাভরী ও টলিপাড়ার অন্য অভিনেত্রীদেরও। ফেসবুকের এক দীর্ঘ পোস্টে এমনই দাবি করলেন ঋতাভরী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উল্লেখ করে তাঁর কাছে আবেদন করলেন, যাতে বাংলার চলচ্চিত্র জগতেও হেনস্থা নিয়ে দ্রুত তদন্ত শুরু হয়।
ঋতাভরী তার পোস্টে লেখেন, “মালয়ালাম চলচ্চিত্র জগতের যৌন হেনস্থার ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছে হেমা কমিশনের রিপোর্ট। আমি ভাবছি, বাংলা চলচ্চিত্র জগতে কেন এই ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে না? প্রায় এই একই ধরনের ঘটনা আমার সঙ্গে ঘটেছে। জানি আরও কয়েক জন টলিপাড়ার অভিনেত্রীর সঙ্গেও ঘটেছে।”
তিনি আরও লিখেছেন, “নায়ক, প্রযোজক ও পরিচালকেরা ঘৃণ্য মানসিকতা নিয়েও কাজ করে চলেছেন। তাঁদের এই সমস্ত কাজের কোনও শাস্তি বা পরিণতি নেই। আরজি করের ঘটনায় এঁদের মোমবাতি হাতে হাঁটতে দেখা গিয়েছে, যেন ওঁরা নিজেরা মহিলাদের মাংসপিণ্ডের থেকে বেশি কিছু ভাবেন!”
হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, “এই হত্যাকারীদের মুখোশ খুলে দিতে হবে। এই দানবদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমার সমসাময়িক সমস্ত অভিনেত্রীকে ডাক দিচ্ছি। আমি জানি তোমরা কাজ হারানোর ভয় পাচ্ছ। এই পুরুষদের অধিকাংশই প্রভাবশালী বলেই তোমরা ভাবছ, কোনও দিন হয়তো কাজ পাবে না। কিন্তু আর কত দিন আমরা চুপ করে থাকব? নতুন অভিনেত্রীরা স্বপ্ন নিয়ে এই জগতে আসেন। তাঁরা বিশ্বাস করতে বাধ্য হন যে এই জগৎ মিষ্টি কথায় মুড়ে রাখা গণিকালয় ছাড়া আর কিছু নয়। এই অভিনেত্রীদের প্রতি কি আমাদের কোনও দায়িত্ব নেই?”
সেই পোস্টের ক্যাপশনে ঋতাভরী মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখেন, “দিদি, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতেও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে, এখনই। এটাকে গুরুত্ব দেওয়ার আগে আরও একটি ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটে যাক আমরা চাই না। রুপোলি দুনিয়ায় রয়েছি বলে, পুরুষেরা আমাদের পণ্য বা তাদের যৌনতৃষ্ণা মেটানোর মাধ্যম হিসাবে দেখবে, এটা হতে পারে না।