
অন্টারিওর অ্যানিশিনাবি ফার্স্ট নেশনের সঙ্গে চুক্তির প্রতিশ্রুতি নিয়ে বিদ্রুপ করেছে ক্রাউন। কারণ, ১৫০ বছরের জন্য ফার্স্ট নেশনগুলোকে বার্ষিক অর্থ পরিশোধ অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং এখন অবশ্যই তাদেরকে সঠিক কাজটি করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট অব কানাডা এই রুলিং দিয়েছে।
রবিন্সন ট্রিটিজ মামলায় সর্বোচ্চ আদালত সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফার্স্ট নেশন বাদীদের একটি গ্রুপের সঙ্গে কানাডিয়ান ও অন্টারিও সরকারকে আলোচনার আদেশ দিয়েছে। চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় ১৮৫০ সালে। চুক্তির আওতায় আপার গ্রেট লেক অঞ্চলের এক লাখ বর্গ কিলোমিটারের বেশি ভূমি ক্রাউনকে দেওয়া হয়। এর বিনিময়ে লেক হুরন ও লেক সুপিরিয়রের অ্যানিশিনাবেকে বার্ষিক অর্থ পরিশোধের কথা।
চুক্তিতে বলা হয়, ভূমিতে সম্পদ উন্নয়ন হওয়ায় অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। এ ছাড়া ক্রাউন কোনো লোকসানের সম্মুখীনও হয়নি। আদিবাসী গ্রুপগুলোর প্রধানরা ১৮৭৫ সালে জনপ্রতি ৪ ডলার বাড়াতে পরেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মাহমুদ জামাল তার সিদ্ধান্তে লিখেছেন, আজ একটা কথাই বলা যায় এবং তা হলো আপার গ্রেট লেকসের অ্যানিশিনাবির সঙ্গে ক্রাউনের চুক্তির প্রতিশ্রুতি একটি মস্করা। চুক্তির প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে মাত্র ৪ ডলার করে দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ক্রাউনের এই পরিমাণ বাড়ানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং সেটা করতে ব্যর্থ হওয়ার অর্থ হচ্ছে চুক্তির মর্মকে খাটো করা। প্রায় দেড় শতক ধরে অ্যানিশিনাবিকে শুন্য হাতে রাখা হয়েছে।
১৭৫ বছর পর এটা আসলো তাতেই আমি খুশি। আপনার জানেন যে, এটা দীর্ঘ সময়। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত আমরা ভুগেছি। আমাদের কমিউনিটি অর্থনৈতিক কোনো লাভ পায়নি। এটা কঠিন। এরপর আমরা উন্নত কমিউনিটি পাব।
ক্রাউনকে অবশ্যই বার্ষিক অর্থের পরিমাণ বাড়াতে হবে। কিন্তু তা কত সিদ্ধান্তে তা উল্লেখ করা হয়নি।
১৮৫০ সালে রবিন্সন-হুরন চুক্তিটি যখন স্বাক্ষরিত হয় তখন সুবিধাভোগীর সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪২২ জন। রবিন্সন-সুপিরিয়র চুক্তির সুবিধাভোগী ছিলেন এক হাজার ২৪০ জন। রবিন্সন-হুরন চুক্তির সুবিধাভোগীর সংখ্যা এখন ৩০ হাজারে দাঁড়িয়েছে, যারা ২২টি ফার্স্ট নেশন কমিউনিটির অন্তর্ভুক্ত। এ ছাড়া রবিন্সন-সুপিরিয়র চুক্তির সুবিধাভোগী ১২টি ফার্স্ট নেশনের ১৫ হাজার মানুষ।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.