যে ঘটনাটা ঘটেছে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা বললেও ভুল হবে। এর চেয়েও বেশি। আনসাররা সচিবালয় ঘেরাও করে রেখেছেন। তাদের বিভিন্ন দাবি মানতে হবে।
ছাত্ররা সচিবালয়ে গিয়ে উপদেষ্টাদের রক্ষা করার চেষ্টা করলে আনসাররা মারা*মারি শুরু করে দেন। ছাত্রদের মার*তে থাকেন। এক পর্যায়ে গু*লি করতে থাকেন। এতে বহু সংখ্যক ছাত্র আহত হন ও সমন্বয়ক হিসনাত মারাত্মক আহত হন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে।
আমার প্রশ্ন হলো এসব আনসাররা ভুয়া হোক আর যেভাবেই হোক হাসিনা আপির আমলে নিয়োগ পেয়েছেন। হাসনা আপি দীর্ঘ ষোল বছর ধরে শাসন করে গেলেন, উন্নয়ন করে গেলেন, সবাইকে উদার হস্তে দান করে গেলেন। তাহলে তারই নিয়োগ দেওয়া বা পাওয়া আনসাররা সেসময় কোথায় ছিলেন? তারা কেন এভাবে কখনোই রাস্তায় নামেন নি? নাকি আয়না ঘরের ভয় ছিল? যেসব আনসাররা গতকালকে এমন জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা সবাই হাসিনা আপির রক্ষক। তা না হলে তারা হাসিনা আপির কাছেই অধিকার আদায়ে নামতেন। এভাবেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে শিশুর মতো চকলেট খাওয়ার বায়নার মতো বায়না ধরতেন না। তাও বীভৎস কায়দায়। সাহসের এপার-ওপার মাত্রা দেখিয়ে। নেত্রীর হয়ে watch-dog এর মতো দায়িত্ব পালন করতেছেন এই পোশাক বদলকারী বাহিনী।
এই সরকার দেশের দায়িত্ব নিয়েছে এক মাসও হয় নি। ষোল বছরে হিসটোরি রেকর্ড ব্রেক দুর্নীতি ও অনিয়ম, অসভ্যতায় ভরা দেশ থেকে হাসিনা আপিকে তাড়াতে শত শত ছাত্র জীবন দিল। এখন এই সরকার দেশ সংস্কার শুরু করেছেন। এটা তো একটা ম্যাজিক না যে হাত সরালেই অন্য জিনিস দেখা যাবে।
এর মধ্যে ইনারা আইছেন মানুষকে গু*লি করে আবদার পূরণ করে নিতে।
অন্য দিকে মোদি পরিকল্পিত পানি ছাড়ার কারণে দেশের মানুষের জীবন বিপন্ন।
এর মধ্যে এইসব আনসারদের চাকরীর জাতীয়করণ রাতারাতি করতে হবে। তাও নাকি তাদের দাবি মানা হয়েছে। তবুও তারা ছাত্রদের জখ*ম করেছেন। গু*লি করেছেন। এসব আনসাররা নূন্যতম বিবেকবান হলে দেশের এমন নাজুক পরিস্থিতিতে নিজেদের হীনমন্যতার পরিচয় দিতেন না।
এখন কথা হলো এত সাহস এরা পেলেন কোথায়? কে দিল ইনাদের গু*লি বা গুলি করার হুকুম?
ছাত্ররা অর্ধশত আনসারদের ধরে ফেলতে সক্ষম হন। ভিডিওতে দেখা গেল তারা কেউই নিজেদের নামও বলতে পারছেন না।
এদের অনেকেই যে নিজেদের ফয়দা লুটতে এসেছেন তা কিন্তু পরিস্কার।
আরেক কথা হলো দেশে এমন অশুভ শক্তি যে কোনো জায়গায়, যে কোনো সময়ে যে কোনো পোশাককে তাণ্ডব চালাতে দেখা যাচ্ছে বা যাবে। এদের উদ্দেশ্যই হলো নতুন সরকারকে যে কোনোভাবেই জব্দ করা। ক্ষমতা লুটে নিয়ে আবারো স্বৈরাচারিকে পদে অধিষ্ঠিত করা। আর এটা কায়েম হলেই ব্যাস। আপনারা যারা দেশে-বিদেশে আছেন তারা সবাই শেষ। বলতে পারেন এর পরে আর কিছু বাকি থাকবে না।
বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে এসব অশুভ দল বা পরাশক্তির মোকাবেলায় যারা সবচেয়ে একটিভ থাকছেন, ঝাপিয়ে পড়ে প্রতিহতের চেষ্টা করছেন তারা হলেন হাসনাত ও সারজিস। তারা জনগণকে আহ্বান করছেন সংঘবদ্ধতার মাধ্যমে লড়তে।
আনসারদের আক্রমণে হাসনাত গুরুতর আহত হয়েছেন ও অন্যান্যরাও হয়েছেন। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ব্যাপার ঘটেছে।
দেশে একজন হাসনাত বা একজন সারজিস থাকলে চলবে না। শত্রু মোকাবেলায় অসংখ্য হাসনাত-সারজিস জন্মাতে হবে।
কারণ আম্লিক একটা হিংস্র রূপ সব ক্ষেত্রে লুকিয়ে রয়েছে।
কেউ কেউ ভিডিও বানিয়ে বলছেন হাসনাত-সারজাত সচিবালয়ে কী করছে? আরো নানান কথা।
আপনারা যারা মাঠে নামেন না তারা একখানা লাইভ করে অনেক কথা সহজে বলতে পারেন । আপনারা কি মনে করছেন হাসিনা আপির তাড়ানো এত সহজ ছিল? তার চ্যালাব্যালারাও এখনো ঘোরাঘুরি করতেছে। সুযোগ খুঁজতেছে। যদি যে কেউই এসে এখন আনসারদের মতো ছাত্র পেটায় তাহলে হাসনাত-সারজিস কি ঘরে বসে থাকবে? আনসাররা যখন সচিবালয় ঘেরাও করে উপদেষ্টাদের বন্দী করে রাখলেন তখন সেনাবাহিনী কোথায় ছিলেন? তারা আনসারদের প্রতিহত করেন নি কেন? কিংবা আপনারা যারা বলতেছেন হাসনাত-সারজিস কী করতেছিল সচিবালয়ে আপনারা বা আনসারদের ছাত্র পেটানো বন্ধ করেন নি কেন? কেন রাস্তায় নেমে মোকাবেলা করেন নি?
যাই বলেন, ছাত্ররা যা করেছেন বা করতে পারেন তা হয়তো অন্যদের পক্ষে সম্ভব না। তাই তারা জনগণের বিশ্বাস অর্জন করেছেন।
ড্রেস বদল করে, রূপ বদল করে আম্লিক সব জায়গাতে একটা তাণ্ডবলীলা চালাবে সেটা কি জনগণ মেনে নেবে?
যাই হোক সোনার বাংলা এখনো আম্লিক বাংলার আক্রমণ থেকে মুক্ত না। তাই হাজারো হাসনাত-সারজিত এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য রেডি থাকা দরকার।
আর দোষী আনসারদের কঠিন বিচারের আওতায় আনা হোক কারণ তারা এখন ড্রেস পাল্টে রিক্সাওয়ালা সাজতে গেছেন।
আল্লাহ আপনাদের নিরাপদ রাখুন।
টরন্টো, কানাডা