9.6 C
Toronto
রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

বস্তি উন্নয়নের টাকাও আত্মসাৎ করেন সাবেক মেয়র আতিক

বস্তি উন্নয়নের টাকাও আত্মসাৎ করেন সাবেক মেয়র আতিক
মো আতিকুল ইসলাম

ভাতিজা-ভাগিনাসহ আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) পরিবারিক একটি সিন্ডিকেটে পরিণত করেছিলেন সদ্য সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসির ছোট-বড় সব খাত থেকে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। লুটপাট থেকে বাদ যায়নি বস্তি উন্নয়নের টাকাও।

মেয়র থাকাকালেই আতিকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নের নামে বস্তি উন্নয়নের টাকা লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে খরচ হিসাব করে দেখা গেছে, বস্তি উন্নয়ন বিভাগের আড়াই কোটির বেশি টাকা লুটপাট হয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে।

- Advertisement -

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বনানী কবরস্থানে আগমন উপলক্ষে প্যান্ডেল, গেট ও লাইটিং করে ডিএনসিসি। এ বাবদ খরচ দেখানো হয় প্রায় ৫০ লাখ টাকা। একই বছর ৯ সেপ্টেম্বর শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে একই স্থানে একই খাতে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়। ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসেও প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সেখানে ১০ লাখ টাকা খরচ দেখায় ডিএনসিসি। তাছাড়া মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে ৪১ লাখ টাকা খরচ করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খরচ করা হয় ৪০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ওই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ডিএনসিসির উন্নয়ন কর্মকা- বিদেশিদের জানাতে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ করে সংস্থাটি। বার্ষিক বনভোজন ও করপোরেশন সভার জন্য ৬৫ লাখ টাকা খরচ করা হয়।

ওই অর্থবছরে আড়াই কোটি টাকার বেশি এ খরচ ডিএনসিসির ২১তম সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। ‘অস্বাভাবিক’ এসব খরচ দেখানো হয়েছে সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন বিভাগ থেকে। যেসব অর্থ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং বস্তিবাসীর উন্নয়নে খরচ করার কথা।

তবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তথা নিম্নআয়ের মানুষদের নিয়ে কিছু কর্মসূচি পালন করেছেন সাবেক মেয়র আতিক। প্রচ- তাপপ্রবাহে রিকশাচালকদের ছাতা, পানির বোতল উপহার দেওয়া কিংবা ছিন্নমূল মানুষকে ইফতার করানো উল্লেখযোগ্য। গত রমজান মাসে গুলশান নগর ভবনের সামনে ছিন্নমূল মানুষদের ইফতার করানোর জন্য প্যান্ডেল তৈরি করে ডিএনসিসি। এই প্যান্ডেল তৈরিতে খরচ দেখানো হয়েছে ১ কোটি টাকার বেশি। ইফতারের খরচ দেখানো হয়েছে ৪৮ লাখ টাকা।

আত্মীয়চক্রে আতিকের আয়েশি সাম্রাজ্যআত্মীয়চক্রে আতিকের আয়েশি সাম্রাজ্য
ডিএনসিসির প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসানের কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জনসংযোগ বিভাগে যোগাযোগ করতে বলেন।

এদিকে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন ডিএনসিসির বিভিন্ন সড়কে আলোকসজ্জার নামে প্রায় ৭০ লাখ টাকা এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নামেও প্রায় ৫০ লাখ টাকার বিল তৈরি করেন তৎকালীন মেয়রের অনুগতরা। গুলশানের নগর ভবনের ষষ্ঠ তলায় বঙ্গবন্ধু ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের ছবি সংবলিত ফেস্টুন, দেয়াল সাজানো ও অফিস সাজানোর নামে কয়েক কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়।

 

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles