
চলতি বছর জমি নিয়ে বিবাদের মামলায় পুলিশের কাছে হয়রানির ‘শিকার’ হন বলিউড অভিনেত্রী কাদম্বরী জেঠওয়ানি। মিথ্যা অভিযোগে অভিনেত্রী ও তার বাবা-মা’কে ৪৩ দিন কারাগারে থাকতে হয়েছে। এবার সেই মামলার তদন্ত পুনরায় শুরু হয়েছে।
কাদম্বরী জেঠওয়ানিকে হেনস্থার অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। পাশাপাশি অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হচ্ছে বলে জানা গেছে। শনিবার (১৪ সেপ্টম্বর) ডায়রেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ দ্বারকা তিরুমালা রাও এ আদেশ জারি করেন।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- তৎকালীন পশ্চিম জোনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ (এসিপি) হনুমন্ত রাও এবং ইব্রাহিমপত্তনম থানার সার্কেল ইন্সপেক্টর এম সত্যনারায়ণ। বর্তমানে হনুমন্ত রাও অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ সদর দফতরে এবং সত্যনারায়ণ বিজয়ওয়াড়ার গভর্নরপেট পুলিশ স্টেশনের স্টেশন হাউস অফিসার হিসেবে কর্মরত।
মুম্বাইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্স থানায় সজ্জন জিন্দালের বিরুদ্ধে ‘যৌন হেনস্থার’ অভিযোগ করার পর জেঠওয়ানিকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। পুলিশ প্রথমে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মুম্বাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। পরে ডিসেম্বরে আদালতের হস্তক্ষেপের পরে জিন্দালের বিরুদ্ধে মামলা করেন অভিনেত্রী।
জেঠওয়ানির অভিযোগ, জিন্দালের বিরুদ্ধে ‘যৌন নির্যাতনের’ মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হয়। পুলিশ কর্মকর্তা কান্তি রানা টাটা ও বিশাল গুন্নি তৎকালীন সরকারের প্রভাবে নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাকে চুপ করে দিয়েছিলেন। তাদের আরোপিত কিছু শর্তে রাজি হওয়ার পরেই তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
তবে ফেব্রুয়ারি মাসে যুবজনা শ্রমিকা রাইথু কংগ্রেস পার্টির নেতা কুক্কালা বিদ্যাসাগর অভিনেত্রী ও তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা করেন। এই মামলায় পুলিশ কাদম্বরী জেঠওয়ানি ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে। এখন অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা এবং হেনস্থার বিষয়ে পুনঃতদন্ত করছে। বিজয়ওয়াড়ার পুলিশ কমিশনার সেন্ট্রাল ক্রাইম স্টেশন থেকে এসিপি শ্রাবন্তী রায়কে নিয়োগ করেছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, কাদম্বরী যখন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন তখন হনুমন্ত রাও বিজয়বরাতে আসেন৷ এই মামলার তদন্তে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন৷ সিআই সত্যনারায়ন ছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা যিনি মামলা তদন্ত না করেই নথিভুক্ত করেন। এছাড়া, আইপিএস পি সীতারামঞ্জনেয়ু, কান্তিরানা তাথা এবং বিশাল গুন্নির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে ৷