
নতুন, অজানা অথবা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি থেকে মানসিক চাপ আসাটা স্বাভাবিক, কিন্তু অবিরাম মানসিক চাপ শারীরিক, মানসিক ও আচরণগত উপসর্গের কারণ হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রতিহত করতে সামগ্রিক পদ্ধতির উপরে জোর দেন। বেশকিছু কারণে উদ্বেগ বাড়তে পারে। আসুন জেনে নিই সেগুলো কী।
নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি
অনেকে মনে করেন তারা যা কিছুই করছেন তার সবই ভুল। সেটি সম্পর্ক হোক, ঝুঁকিপূর্ণ আর্থিক সিদ্ধান্ত হোক বা নতুন যেকোনো কাজই হোক না কেন। এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে উদ্বেগ আরো বেড়ে যাবে।
উচ্চাকাঙ্ক্ষা
উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্যও অনেকে উদ্বিগ্ন হতে পারেন। এগুলো শিক্ষাগত, পেশাদার, আর্থিক বা সামাজিক কারণ হতে পারে এবং ক্রমাগত আজীবন স্ব-প্ররোচিত মানসিক চাপের সৃষ্টি করে। যার সুরাহা না হলে সেটি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
সামাজিক মাধ্যম অতিরিক্ত ব্যবহার
অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করতে চান। তবুও প্রায়শই অন্যের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে তাদের নিজের জীবন নিয়ে হতাশ ও অসন্তুষ্ট বোধ করেন। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
আমি টেলর সুইফটকে ঘৃণা করি: ট্রাম্পআমি টেলর সুইফটকে ঘৃণা করি: ট্রাম্প
ঘুমের ব্যাঘাত
অনেকেই তাদের মানসিক প্রশান্তির জন্য দিনের মধ্যে অনেক কাপ কফি খেয়ে থাকেন। তাদের বেশিরভাগই জানেন না যে অতিরিক্ত মাত্রার ক্যাফেইন উদ্বেগকেও বাড়িয়ে তোলে। এ বিষয়ে গারেথ রিচার্ডস ও অ্যান্ড্রিউ স্মিথ জার্নাল অব সাইকোফার্মাকোলজিতে বলেন, পরিমিত পরিমাণে ক্যাফেইন (প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রামের কম) মেজাজের উন্নতি ঘটাতে পারে। উদ্বেগ ব্যাধিগ্রস্থ লোকেদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনের সময় বন্ধু হিসেবে ক্যাফেইন থাকা উচিত। তবে প্রতিদিন এক কাপ বা দুই কাপ।
শরীরচর্চা থেকে পালিয়ে বেড়ানো
ব্যায়াম করলে এন্ড্রোফিন্সের ক্ষরণ হয়। এটি ভালো মেজাজকে উদ্দীপ্ত করে এবং শরীরের প্রাকৃতিক পেইন কিলার বা যন্ত্রণানাশক হিসেবে কাজ করে। কিন্তু কিছু মানুষ ব্যায়াম থেকে দূরে থেকে মানসিক চাপের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য চকোলেট, ক্যাফেইন, নিকোটিন বা অন্য দ্রুত সমাধানের ওপরে আস্থা রাখে। কিন্তু এগুলো অতিরিক্ত খেলে বা সেবন করলে শরীরের আরো ক্ষতি হবে। এছাড়া অলস শরীরের প্রভাব যাতে মনের ওপরে না পড়ে তার জন্যও অনেকে উদ্বিগ্ন হন।