
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সে দেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’। তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন নয়। কিন্তু প্রতিবেশী হিসেবে সে দেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে ভারত আগ্রহী। সম্পর্ককে ভারত আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘প্রতিবেশীরা একে অন্যের সঙ্গে জুড়ে থাকে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক রয়েছে। মানুষের সঙ্গে মানুষের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এই সম্পর্ক ও যোগাযোগ আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা আগ্রহী।’
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদল ও সেই পরিস্থিতিতে ভারতের ইতিকর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জয়শঙ্কর বলেন, ‘সব সময় সবকিছু ঠিক থাকবে তা হয় না। সব সময় সবকিছু অনুকূলও থাকে না। বাংলাদেশে যা হয়েছে তা তাদের নিজস্ব রাজনীতি। একান্তই অভ্যন্তরীণ বিষয়। কাজেই সে নিয়ে মন্তব্য করা অনভিপ্রেত। এটুকু বলতে পারি, আমরা সব সময় বিদ্যমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে চলি।’
এ প্রসঙ্গে নাম না করে জয়শঙ্কর অন্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কেরও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘অন্য প্রতিবেশী দেশেও কোথাও কোথাও রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু মিটমাট হয়ে গেছে। বাংলাদেশেও যা হওয়ার তা হবে। সে নিয়ে মন্তব্য করা সাজে না। কিন্তু আমাদের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে, আমরা তা আমাদের দিক থেকে স্থিতিশীল রাখতে চাই। সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে খুব ভালো সহযোগিতা আছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো। মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগও চমৎকার। আমরা এই পথেই এগোতে চাই।’
-দৈনিক প্রথম আলোর তাৎপর্যপূর্ণ সংবাদ এটি। ভারত নিয়ে যারা পানি ঘোলা করতে চেয়েছিল তাদের জন্যে নিশ্চিত দুঃসংবাদ এটি। অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন তারা কারা? দুটি পক্ষ। একটি হলো সদ্য পতিত স্বৈরাচারী সরকার ও তাদের দোসররা, অপর গ্রুপটি হলো চরম স্বাধীনতা বিরোধী একটি ক্ষুদ্র উগ্রপন্হী শক্তি।
তবে এই সংবাদটি ড. ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারকে তাঁর সংস্কার কাজকে এগিয়ে নিতে আরো মনযোগী হতে সাহায্য করবে।
স্কারবোরো, কানাডা