
কতদিন অথবা কোনোদিন জয়পুর হাটে যাইনি,
বিকেল বেলা বা সান্ধ্যকালীন গ্রামীণ হাট বাজারের কোলাহলগুলো
ঐতিহাসিক মনে হয়।
স্কলারশিপ নিয়ে বা উচ্চতর পড়াশোনার জন্য
সন্তানেরা বিদেশে ছুটে যায়।
আর নিন্মতর পড়াশোনার জন্য প্রত্যাবর্তন জয়পুর হাটে,
মাসুদার স্কুলে আমি নিন্ম শ্রেনিতে ভর্তি হয়েছি গতকাল,
শৈশবের সাথে।
পাখিরা আমার ক্লাসমেট
আমি শিখবো পাখিদের পিতৃভাষা, পাখিদের পল্লীগীতি।
ধানক্ষেত আমার এগ্রিকালচার টিচার
হাতে কলমের শিক্ষায় ধানচাষ করতে করতে
আমিও আউশ, আমন, বোরোর কাদাপ্রেমে আটকে যাবো!
মাসুদ স্যারের সাইকেলের পেছনের সিটে বসে
শিক্ষা সফরে দেখতে যাবো জামালগঞ্জের কয়লা খনি,
আসলে এটা কয়লা খনি নয়;
বাংলার সোনার খনি।
ফেরার পথে এক সাঁওতাল শ্রমিক,
ছোট যমুনার জল দিয়ে,
গাভীর ওলান থেকে কাঁচা দুধ নিয়ে
পাহাড়ি গাছের মৌচাক থেকে অথবা
বনফুলের মধুমন্ত্র মিশিয়ে আমাদেরকে আদিবাসী চা খাওয়াবে
ওঁরাও’দের শালপাতার গ্লাসে।
প্রিয় পাখিদের পল্লীগীতি ছেড়ে
নিন্মশ্রেণি থেকে আমি আর কখনোই উচ্চতর বিদেশে যাবোনা।
ইস্টইয়র্ক, কানাডা