
ফুলসজ্জা
রীতি মেনে প্রথমে বিয়ে। তার পর ফুলশয্যা ও মধুচন্দ্রিমার গোপন ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করে স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেল করেন যুবক। বছরের পর বছর ধরে টাকা আয়ের এই ‘ব্যবসা’ চালিয়ে যাচ্ছিল ভারতের ওড়িশার ভুবনেশ্বরের এক যুবক। এভাবে ১৫ জন নারীকে বিয়ের জালে ফাঁসিয়ে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ‘বর’।
জানা গিয়েছে, সোশাল মিডিয়া ও মেট্রিমোনিয়াল সাইট দেখে মূলত মধ্যবয়সি ও ডিভোর্সি নারীকে টার্গেট করতেন অভিযুক্ত যুবক। এর পর কথার জালে ফাঁসিয়ে নিয়ম মেনে বিয়ে ও যৌন সম্পর্কের লিপ্ত হন যুবক। সেই সব ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করতেন অভিযুক্ত যুবক। এর পর সেই ভিডিও হাতিয়ার করেই নারীদের থেকে চলত টাকা আদায়। সম্প্রতি নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এক নারী অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হন। এর পরই একে একে প্রকাশ্যে আসে যুবকের কীর্তি।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দিনকয়েক আগে এক নারী তাদের কাছে এসে ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তালাকপ্রাপ্ত ওই নারী দাবি করেন, বিচ্ছেদের পর দ্বিতীয় বিয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। সেই সময় সামাজিক মাধ্যমে ওই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। নারীর কাছে সরকারি কর্মকর্তা বলে দাবি করেন তিনি।
এর পর ফোনে যোগাযোগ ও বিয়েও করেন তারা। তবে কিছুদিন পর থেকেই তার উপর নির্যাতন চালাতে শুরু করে অভিযুক্ত। এই পরিস্থিতিতে ওই নারী বাপের বাড়ি চলে গেলে ফুলশয্যার ভিডিও ফাঁস করার হুমকি দিয়ে টাকা চাওয়া হয়।
নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে যুবকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। এর পরই প্রকাশ্যে আসতে থাকে যুবকের কীর্তি। জানা যায়, এভাবেই ১৫ জন নারীকে বিয়ে করেছেন ওই যুবক। পরে ফুলশয্যার ভিডিও ফাঁস করার হুমকি দিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে একইভাবে টাকা আদায় করেছেন তিনি।