4.7 C
Toronto
বুধবার, মার্চ ১৯, ২০২৫

কাজের চাপে মেয়ের মৃত্যু— অফিসকে কাঠগড়ায় তুললেন মা

কাজের চাপে মেয়ের মৃত্যু— অফিসকে কাঠগড়ায় তুললেন মা - the Bengali Times
প্রতীকী ছবি

ভারতের পুনের আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং কনসালট্যান্ট ফার্মে মাস চারেক আগে যোগ দেন অ্যানা সেবাস্টিয়ান পেরাইল। আদতে তিনি কেরালার বাসিন্দা। কর্মসূত্রে চলে যান পুনেতে। মা অনিতা অগাস্টিনের দাবি, মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপ সহ্য করতে পারেনি মেয়ে।

মেয়ের মৃত্যুর পর গুরুতর অভিযোগ তুলে তার মা সংস্থার বস রাজীব মেমানিকে একটি ইমেল করেছেন। তার বক্তব্য, অতিরিক্ত কাজ দেওয়া হচ্ছিল অ্যানাকে। মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। মেয়ের দুর্বিসহ অভিজ্ঞতার কথাও তুল ধরেছেন চিঠিতে।

- Advertisement -

২০২৩ সালে সিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন অ্যানা। এরপর চলতি বছর মার্চে যোগ দেন পুনের ওই ফার্মে। এটাই ছিল তার প্রথম চাকরি। সংস্থার চাহিদা পূরণ করার জন্য দিনরাত খাটনি করতেন তিনি। মায়ের অভিযোগ, সে কারণেই ধীরে ধীরে নানা শারীরিক সমস্যা হচ্ছিল মেয়ের।

ইমেলে উল্লেখ করা হয়েছে, দিনরাত দুশ্চিন্তা, উদ্বেগে ভুগতেন অ্যানা। রাতে ঘুম হত না। মানসিক অবসাদ ঘিরে ফেলেছিল তাকে। তা সত্ত্বেও সংস্থার জন্য সাধ্যের বাইরে গিয়ে খাটতেন। অ্যানার মনে হতো, পরিশ্রম করলে তবেই সফল হতে পারবেন। খবর নিউজ ১৮, এই সময়ের।

অনিতা বলেন, কাজের চাপ সামলাতে না পেরে অনেক কর্মীই ওই ফার্ম ছেড়ে চলে গিয়েছিল। কিন্তু অ্যানার বস ওকে বলেছিল, আরও পরিশ্রম করে দেখিয়ে দিতে। সকলকে ভুল প্রমাণ করে দিতে। ক্রিকেট ম্যাচের সময় মিটিং ফেলতেন ওর বস। অনেক রাতেও অতিরিক্ত কাজ দিয়ে দিতেন। এতে ওর স্ট্রেস বাড়ছিল। একবার একটি অফিস পার্টিতে জনৈক কর্মী মজার ছলেই বলেছিলেন, কীভাবে ওর বস অতিরিক্ত খাটাচ্ছেন।

অ্যানার মা আরও বলেন, গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হতো তাকে। মেয়ের এমন অবস্থা হত, অফিসের পরে বাড়িতে ফিরে পোশাক বদলের শক্তিটুকুও আর থাকত না। এমনকি উইকএন্ডেও কাজ দেওয়া হত ওকে। মৌখিকভাবে কাজ করতে বলা হত। আমি অনেকবার বারণ করেছি অতিরিক্ত চাপ নিতে। ওর বিশ্রামের সময়ই ছিল না। আমরা ওকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলেছিলাম। বুঝতে পারেনি এত কাজের চাপ চরম পরিণতির দিকে ঠেলে দেবে।

স্ত্রীকে প্রতিদিন ১০০ বার ফোন, স্বামী গ্রেপ্তারস্ত্রীকে প্রতিদিন ১০০ বার ফোন, স্বামী গ্রেপ্তার
অনিতা অগাস্টিনের কথায়, আমার মেয়ের মৃত্যু এ ধরনের সংস্থাগুলোর কাছে চোখ খুলে দেওয়ার মতো ঘটনা। ওয়ার্ক কালচার নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত কোম্পানিগুলোর। কর্মীদের শরীর-স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles