
টলিউডের এক হেয়ার স্টাইলিস্ট কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার শিকার হয়ে আত্মহননের চেষ্টা করেন গত শনিবার। তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার করার অভিযোগে এদিন গিল্ডের ১১ জনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয় অর্থাৎ সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়ে গেছে বলেও জানানো হয় পুলিশের তরফে।
এর আগে শনিবার প্রায় মধ্যরাতে সুদীপ্তা চক্রবর্তী ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। অভিনেত্রীর পোস্ট থেকে জানা যায়, উক্ত স্টাইলিস্ট আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তিনি তার সেই পোস্টে লেখেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কেশশজ্জা শিল্পী (নাম গোপন রাখা হল), আমার হাত ধরেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে যার আসা, এই মুহূর্তে হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে শুয়ে। সুইসাইড নোট লিখে রেখে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কোন রকমে ঠেকানো গেছে। ওকে বাঁচানো গেছে। চিকিৎসা চলছে। সন্ধ্যাবেলা মেসেজ করে আমার সাহায্য চেয়েছিল। ক্লাসে ছিলাম। সময় মতো উত্তর দিতে পারিনি। নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না।’
আত্মহননের চেষ্টার আগে সেই শিল্পী তার সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি অডিও বার্তাও দেন। সেখানেই তিনি জানান যে তিনি একটি অন্যায় করায় তাকে ৩ মাস সাসপেন্ড করা হয়। তিনি সেটা মেনেও নেন। এই ৩ মাসে তার অনেক দেনা হওয়ায় অসুস্থ বরের চিকিৎসা এবং মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতে তিনি বাইরে কাজ শুরু করেন। কিন্তু তাকে সেই কাজ করতে দেওয়া হয়নি। বলা হয় গিল্ড থেকে যা দেওয়া হবে সেই কাজ করতে হবে। এমন অবস্থায় তিনি আত্মহত্যা করতে যান বলেই জানান।
অন্যায়ের প্রতিবাদ করে সাসপেন্ড হয়েছিলেন হেয়ার স্টাইলিস্ট। সেই সাসপেনশনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি কাজে যোগ দেন। কিন্তু, তার পরেও তার হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয় একের পর এক কাজ। এর জেরেই শনিবার গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কোনওক্রমে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই জখম শিল্পীকে দেখতে ছুটে যান সৃজিত মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সুদেষ্ণা রায় প্রমুখ। সমাজমাধ্যমেও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন অনেকে।
সূত্র: আনন্দবাজার