
আমার ছোট চাচা, আমার বাবার ভাইবোনের মধ্যে তিনিই মাত্র একজন এখনো জীবিত আছেন। উনার সম্প্রতীক ব্রেন স্ট্রোক হয়। উনি বাংলাদেশে থাকেন। উনি এখন একটি ক্লিনিকে আছে। এটি যেহেতু প্রথম স্ট্রোক তাই এযাত্রা হয়তো বেঁচে গেছেন, তবে উনার যে বয়স তাতে এটি খুবই এলার্মিং। ডাক্তারা উনাকে বলেনি, উনার ছেলেকে বলছেন। বাংলাদেশে এই ব্যাপারগুলি সবসময় ডাক্তাররা বলেন না, কারণ আমাদের দেশের সব সিনিয়র রা এটি মেনে নিতে পারেন না, ফলে তাদের প্যানিক এটাক হতে পারে, বেশি পরিমানে উদ্বিগ্ন হতে পারেন, প্রেশার বেড়ে যেতে পারে ইত্যাদি। তাই কেউ আবার এটি শুনি তাকে সরাসরি ফোন করে জানতে চাইবেন না যদিও তাকে সরাসরি ফোন ধরতে দেওয়া হচ্ছে না।
আমরা আমাদের ভাই “মুরাদের” মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছি।
উনার সাথে আমাদের অনেক অনেক সুন্দর স্মৃতি আছে। উনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, বাংলাদেশ আর্মিতেও সার্ভ করেছেন, সবশেষে দর্শনা কেরু কোম্পানি থেকে অবসর নিয়েছেন। আমাদের সাথে উনার বন্ধুর মতো সম্পর্ক। আমার মেজো চাচা মারা গেছেন ২০১৪র নির্বাচনের আগে, তিনিও আমাদের খুব কাছের ছিলেন। উনাদেরকে আমাদের কখনো আমার বাবার থেকে আলাদা মনে হয়নি।
আপনারা দোয়া করবেন উনি যেন ভালোভাবে বাসায় ফিরে আসতে পারেন এবং স্ট্রোক পরবর্তী কোনো সাইডএফেক্ট না হয়। বয়স হয়েছে, শরীরের বিভিন্ন জিনিষ হয়তো আগের মতো কাজ করবে না, তারপরেও আমরা চাই উনি যেন আমাদের মাঝে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকেন, এবং আল্লাতালা যেন উনাকে কোন ধরণের ভোগান্তি না দেন ! উনার যেন কোনো কষ্ট না হয়।
যদিও সপ্তাহ খানেক আগে থেকে অসুস্থ কিন্তু স্ট্রোকের খবরটি আজকেই পেলাম। মনটা খুবই বিষন্ন।
মুরুব্বিরা যতদূরেই থাক, যত বয়সই হোক, কিঁছু করতে পারুক আর নাই বা পারুক শুধুমাত্র তাদের উপস্থিতিই আমাদের জন্য অনেক কিছু তাই আপনারা দোয়া করবেন সে যেন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে আসেন। আর বিশেষ করে এই দোয়া করবেন, যাতে করে আমরা এবং তার ছেলেমেয়েরা যেন তার জন্য প্রতিনিয়ত দোয়া করতে পারি এবং আমাদের তার প্রতি কর্তব্যগুলো সঠিকভাবে পালন করতে পারি।
টরন্টো, কানাডা