হ্যাঁ, শুরুতেই অন্ধকার বলার কারণ হলো, দেশের সবখানেই দুর্নীতি ও অনিয়মের ছায়ায় আলো নিভে গেছে অনেক আগেই। স্বৈরশাসকের পতনের পর যেভাবে টাকা পাচারের খবরে দেশ ছেয়ে গেছে তাতে অমাবস্যার আঁধারে নিমজ্জিত হয়েছে দেশের ভবিষ্যৎ। নেতারা কে কতো টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন তার হিসেব তারা নিজেরাও জানেন না। খারাপের নিচে চাপা পড়া ভালোর মুখ চোখের সামনে ভেসে আসে না।
এই অন্ধকারের ফাঁকে এক বিশাল আলোর মশাল জ্বলে ওঠার খবর পাওয়া গেল। খবরটা আমি ইত্তেফাক পত্রিকায় পড়েছি। দেশের দশজন কৃতি সন্তান বিশ্বের বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন। অথচ আমরা কী হতভাগা বলেন তাঁদের নামও আমরা কখনো শুনতে পাই নি। ফেসবুকটা নোংরা ব্লগে ভরে গেছে। রাজনৈতিক উত্তেজনা। পদ্মাসেতুর জন্য বুক ফাটা কান্না, মেট্রোরেলের তার ছিড়ে যাওয়ায় স্বয়ং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মূর্ছা যাওয়া, জাতীয় সংগীত বদলে যাবে বলে বুকফাটা আর্তনাদ, অগণিত বিতর্কের কান্ডারী সাকিবে প্রস্থানে হৃদয়ে রক্তক্ষরণসহ আরো অনেক নাটক বর্তমানে চর্চিত রয়েছে। এসব সোনা-হিরের আলোর দ্যুতি ছড়ানোর সুযোগটা কোথায়?
যাই হোক ইত্তেফাকের নিউজ থেকে মূল কাহিনিটার কিছুটা আপনাদের জন্য তুলে ধরলাম নিচের অংশে।
“অসাধারণ গবেষণাকর্ম ও বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষক বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এলসেভিয়ার এই তালিকা প্রকাশ করেছে।
এ বছর বাংলাদেশের ২০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের ২০৫ জন গবেষক এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। পুরো ক্যারিয়ারে গবেষণার মান; সাইটেশন, সাম্প্রতিক বছরের গবেষণা ও নির্দিষ্ট ফিল্ডে অবদান রাখার কারণে গবেষকদের এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ১০ জন শিক্ষক।”
রিপোর্ট -ইত্তেফাক
এই দশজন বিজ্ঞানী হলেন:
১. ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক কাজী মতিন উদ্দিন আহমদ।
২. সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এম রেজাউল ইসলাম।
৩. ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
৪. ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
৫. পপুলেশন সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন।
৬. ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফেরদৌস।
৭. গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. নেপাল চন্দ্র রায়।
৮.সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কাউসার আহমেদ।
৯. ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাকিবুল হক।
১০. ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মো. মাহমুদুল ইসলাম।
এই দশজনই স্ব স্ব ক্ষেত্রে ও বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ও ভূমিকায় নিয়োজিত আছেন।
বিশ্বের সেরাদের তালিকায় বাংলাদেশিদের নাম আরো জায়গা পাক। অন্ধকারে জ্বলে উঠুক তারার ঝিলিক।
আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।
টরন্টো, কানাডা