-0.8 C
Toronto
বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫

টরন্টোর দিনরাত্রি

টরন্টোর দিনরাত্রি
লাল শার্ট পরিহিত যিনি তার নাম সাইদুর রহমান আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড হলেও গতকালই তার সাথে প্রথম সরাসরি দেখা হলো

এক

প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যেও গতকাল রবিবার কিছুক্ষণের জন্যে গিয়েছিলাম চট্টগ্রাম সমিতির প্রেসিডেন্ট মন্জুর চৌধুরীর আমন্ত্রণে ঐতিহ্যবাহী মেজবানী অনুষ্ঠানে। মন্জুর চৌধুরীসহ এই আয়োজনের সাথে জড়িত সকলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। ছবিতে লাল শার্ট পরিহিত যিনি তার নাম সাইদুর রহমান আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড হলেও গতকালই তার সাথে প্রথম সরাসরি দেখা হলো। অনেকেই জেনে অবাক হবেন যে সাইদুর রহমান বিশ্ব বিখ্যাত টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিকেটের উপর পিএইচডি ডিগ্রী নিতে গবেষণা করছেন। চমকপ্রদ বিষয়ই বটে। সাইদুর রহমানের জন্যে শুভ কামনা।

- Advertisement -

দুই

যে নামেই হোক, যে দাবিতেই হোক, দাবী যত ন্যায্যই হোক না কেন সেই সব দাবীগুলো যদি রাষ্ট্র সংস্কারের সাথে সম্পৃক্ত না হয় তাহলে আপনার দাবীগুলি মেটাতে ড. ইউনুসের স্বল্পকালীন সরকার যথাযথ কর্তৃপক্ষ নয়। এই সরকারের একমাত্র কাজ হলো রাষ্ট্রকে এমনভাবে সংস্কারের প্রস্তাব বা সুপারিশমালা তৈরী করা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করে তা বাস্তবায়ন করা যাতে ভবিষ্যতে আর কখনো কোন সরকার স্বৈরাচারী আচরণ এবং কাজ না করতে পারে। এসব জানা সত্তেও এবং সংস্কারের বাইরে অন্যসব দাবী দাওয়া নিয়ে যারা ইউনুস সরকারকে বিব্রত করছেন এবং সেগুলোকে বেস ধরে ইউনুস সরকারকে সমালোচনা করছেন তারা সকলেই বুঝে অথবা না বুঝে পুনরায় দেশে স্বৈরতন্ত্র এবং ফ্যাসিবাদ কায়েমের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

ইউনুস যেহেতু রাজনীতি করে পেট চালাবেন না, বিশ্বের হাজারো মানুষ তাকে এবং তার সরকারের উপদেষ্টাদের তাদের দেশে আশ্রয় এবং নাগরিকত্ব দিয়ে ধন্য হবেন ফলে দেশে পুনরায় ফ্যাসিবাদ কায়েম হলে ইউনুসের নয় আপনারা যারা দেশেই থাকবেন, বাস করবেন তাদের এবং তাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।

অতএব আপনি যে নামেই বা যে বেশেই ড. ইউনুসকে বিব্রত ও নাজেহাল করার চেষ্টা করুন না কেন নিজের পা’য়ে নিজেই কুড়াল মারছেন। ফুল ষ্টপ! পিরিয়ড!

তিন

দুদিন আগের কথা। হঠাৎ ফেসবুক ম্যাসেন্জারে বাংলাদেশ থেকে একটা ম্যাসেজ এলো। “কাকা আমার কিছু টাকা লাগবে”!

বার্তা প্রেরক আমাদের আত্মীয়। গোয়ালন্দের মোটামুটি স্বচ্ছল পরিবারের মানুষ। তার হঠাৎ টাকা চাওয়ার বার্তা পেয়ে আমি কিছুটা অবাক।

আর এমন সময় টাকা চাওয়ার বার্তা এলো তখন আমি নিজেই বাসার খরচ পাতি আয় ব্যয় নিয়ে নিজ পরিবারের সাথে একটু মেজাজ খারাপ অবস্হায় ছিলাম। টাইমিংটা দেখে অবাক হলাম! মনে মনে ভাবলাম, টাকা চাওয়ার আর সময় পেল না!

নিজেকে অনেক কষ্টে সংবরণ করে জবাব দিলাম, “তুমি কি আমার কাছে কোন টাকা পাও?”

উত্তর এলো, “না, কাকা”!

আমি অস্ফুট স্বরে শুধু লিখলাম, “ওহ”!

কিছুক্ষণ পরে ফেসবুকে দেখলাম, ঐ ফেসবুক আইডিটি হ্যাক হয়েছে!

মনে মনে হ্যাকারের বুদ্ধির তারিফ না করে পারলাম না। তিনি টাকা চাওয়ার আগে কষ্ট করে কিছু হোম ওয়ার্ক করেছে। আমাদের আগের কিছু কনভারসেশন পড়ে বুঝতে পেরেছে আমাদের রিলেশনটা কী!

ফলে তাকে, আপনিও না, তুমিও না, এরকম কোন বাক্য ব্যবহার করতে হয় নি আমার সাথে। কোন ফ্লাইটের ট্রানজিটে আটকা পড়েছে, এরকম কোন গল্প ফাঁদতে হয় নি।

 

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles