
চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। গণঅভ্যুত্থানের মুখে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন পর্দায় শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয় করা এই অভিনেত্রী। এতদিন বিষয়টি নিয়ে ছিলেন নিশ্চুপ। ছিলেন দেশের বাইরে। কানাডায় দেড় মাসের সফর শেষে গেল ১৭ আগস্ট দেশে ফিরেছেন ফারিয়া। আর এবার সমালোচনার জবাব দিলেন তিনি।
আপনাকে নিয়ে ট্রল হয়েছে অনেক, দেখেছেন নিশ্চয়ই? এমন প্রশ্নে জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘চোখে তো পড়েছে, খারাপও লেগেছে। তবে কাকে কী বলব! আমার ক্যারিয়ার ১২ বছরের। ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকেই আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় দেখেছি। তারা যখন যে ধরনের কাজে ডেকেছে, সাড়া দিয়েছি। আসলে আমি তো এখানে টাইম পাসের জন্য আসিনি। এটা রুটি-রুজির জায়গা। কাজের প্রস্তাব এলে করব, এটাই তো নিয়ম। এখন কেউ যদি আমাকে আওয়ামী সমর্থক ভেবে দূরে ঠেলে দেন, কী করতে পারি?’
যোগ করে ফারিয়া আরও বলেন, ‘আমরা শিল্পী, আমাদের কাজ মানুষকে বিনোদন দেওয়া। সেটাই করে গেছি। কখনো কারও অন্ধ সমর্থক ছিলাম না। যদি সেটা করতাম, মনে সামান্যতম সংকীর্ণতা থাকত, দেশেই আসতাম না। এখন যদি নতুন সরকার তাদের কাজে আমাকে ডাকে, অবশ্যই সাড়া দেব। ওই যে বললাম, শিল্পীদের কাজ দলাদলি করা নয়, নিজের অভিনয়শৈলী দিয়ে দর্শক মনে জায়গা করে নেওয়া।’
এই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকে কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি রাজনীতির মানুষ নই। বিচক্ষণতার সঙ্গে তাই বলতেও পারব না। দেশের ছাত্র-জনতা চেয়েছিল বলেই তো পরিবর্তনটা এসেছে। একজন নাগরিক হিসেবে চাইব, যেটা হয়েছে সেটা যেন মঙ্গলের জন্য হয়। আমার বিশ্বাস, মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর পাশাপাশি বিনোদনও যেন হারানো গৌরব ফিরে পায়, সেদিকে খেয়াল রাখবে বর্তমান সরকার।’
উল্লেখ্য, নতুন কাজ নিয়ে পরিকল্পনা করছেন নুসরাত ফারিয়া। পাশাপাশি তার গানের ধারাবাহিকতাও বজায় রাখতে চান। খুব শিগগিরই কাজে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন নুসরাত ফারিয়া।
এদিকে, ভারতীয় উপমহাদেশের খ্যাতিমান নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় অভিনয় করেন ফারিয়া। শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত এই সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ আর তার কন্যা শেখ হাসিনার চরিত্রে দেখা গেছে নুসরাত ফারিয়াকে।