
সংসারে শান্তির জন্য পুরোহিতের কাছে গিয়েছিলেন এক নারী। কিন্তু প্রসাদে মাদক মিশিয়ে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পুরোহিতের বিরুদ্ধে। এছাড়া ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন নারী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের সিকর জেলায়।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিকর জেলার খেদি দাতুঞ্জলার ক্ষেত্রপাল মন্দিরের পুরোহিত বাবা বালকনাথ। রাজেশ নামে এক ব্যক্তির সূত্রের বাবা বালকনাথের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই নারীর। পারিবারিক সমস্যা নিয়ে ওই নারী পুরোহিতের কাছে গিয়েছিলেন। পুরোহিত তাকে প্রতিশ্রুতি দেন, তন্ত্র বিদ্যার মাধ্যমে তিনি সব সমস্যার সমাধান করে দেবেন। এরপরে নারীকে একা পেয়ে ওই পুরোহিত তাকে একটি প্রসাদ দেন। সেই প্রসাদ খাওয়ার পরেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন নারী। তখন পুরোহিত তাকে ধর্ষণ করেন।
ওই নারীর দাবি, ধর্ষণে পুরোহিতকে সাহায্য করেছিল তার গাড়ির চালক। তিনি জানান, ঘটনার দিন বাবা বালকনাথ তাকে প্রথমে এক টুকরা মিষ্টি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটা খেলেই সংসারে শান্তি বিরাজ করবে। তখন ওই নারী ভক্তির সঙ্গেই সেই মিষ্টি খেয়েছিলেন। কিন্তু, এর পিছনে যে পুরোহিতের অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি নারী। মিষ্টি খাওয়ার পরেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সেই অবস্থাতেই পুরোহিত তাকে ধর্ষণ করেন। আর সেই দৃশ্যের ভিডিও রেকর্ডিং করে তার চালক। তবে নারীর জ্ঞান ফিরলেও তিনি কাউকে সেকথা জানাতে পারেননি। কারণ ওই পুরোহিত নারীকে হুমকি দিয়েছিলেন যে কাউকে বললেই ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেওয়া হবে। ফলে চুপ থাকেন ওই নারী।
কিন্তু এরপরও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে একাধিবার ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। অভিযুক্তরা তাকে নিয়মিত দেখা করতে বাধ্য করেন। আর তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করলেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন তারা। বেশ কয়েক মাস চুপচাপ থাকার পর অবশেষে থানায় অভিযোগ জানান ওই নারী।
বঙ্গভবনে কী হচ্ছে, দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়বঙ্গভবনে কী হচ্ছে, দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়
উদ্যোগ নগর থানার পুলিশ এই ঘটনায় অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে। যদিও এবিষয়ে বাবা বালকনাথের কোনও মন্তব্য সামনে আসেনি। তবে ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।