
এই ফলে কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কম শিক্ষার্থী পড়তে আসছে। এই অবস্থায় কানাডিয়ান বিশ^বিদ্যালয়গুলোকে সতর্ক করে দিয়ে বলছে, চলতি বছরের জন্য ফেডারেল সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে প্রকৃত সংখ্যাটি হয়েছে তার চেয়ে কম।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা অস্বাভাবিক বাড়তে থাকার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অভিবাসনমন্ত্রী এই সীমার কথা ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সেবার ওপর চাপের কথা উল্লেখ করেন।
নতুন এই নীতিতে শিক্ষার্থীদের যেসব ভিসা আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের হজন্য গ্রহণ করবে তার সংখ্যা সীমিত করা হয়েছে। এর ফলে চলতি বছর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ^বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি তার চেয়েও কম হবে। এটা বিশ^বিদ্যালয়ের বাজেটের ওপর একটি জাতীয় আঘাত, যা আধুনিককালে দেখা যায়নি।
এই সীমা আরোপ সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। সেই সঙ্গে অভিবাসন বিভাগ ভিসা প্রক্রিয়াকরণ বন্ধ করা ও সরকারের বাস্তবায়ন করা এই পরিবর্তনের কারণে শিক্ষার্থীরা অন্য কোথাও ভর্তির কথা ভেবে থাকতে পারেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে মতামত আমরা জানতে পেরেছি তা হলো কানাডায় পড়তে গেলে কী ধরনের সুবিধঅ পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে সত্যিকারের অনিশ্চয়তা ও দ্বিধা। সেই সঙ্গে কী ধরনের নিয়ম হবে তা নিয়ে উদ্বেগের কথাও শোনা গেছে।
সেপ্টেম্বরে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী আসে তা না দেখা পর্যন্ত প্রকৃত চিত্রটা পাওয়া যাবে না।
ইমিগ্রেশন, রিফিউজিস অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কানাডা এক বিবৃতিতে বলেছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সার্বিক অনুমোদন ও ভর্তি কমেছে। শিক্ষা ভর্তিতে সর্বোচ্চ সীমা আরোপের প্রভাব পুরোপুরি মূল্যায়নের সময় এখনো আসেনি বলে মনে করছে তারাও। কারণ, পারমিট যাচাই-বাছাইয়ের সবচেয়ে ব্যস্ত মাস হচ্ছে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর।
অভিবাসন বিভাগের উপাত্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথমার্ধে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯৫ জনের আবেদন কার্যকর করা হয়েছে। সংখ্যাটি নতুন শিক্ষার্থী ভিসার ক্ষেত্রে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। তবে জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত কত সংখ্যক স্টাডি পারমিট ইস্যু করা হয়েছে সে তথ্য নেই।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.