
শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিতে ভোগার প্রবণতায় পরিবর্তন এসেছে। ২০২০ সালে ৪৫-৫৪ বছর বয়সীরা এ সমস্যায় বেশি ভুগলেও এবার বেশি ভুগছেন ২৫-৩৪ এবং ৩৫-৪৪ বছর বয়সীরা। এক সমীক্ষার ফলাফলে এমনটাই জানা গেছে। অন্টারিও মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডা. অ্যাডাম কাসাম বলেন, চিকিৎসকদের শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিতে ভোগার সমস্যাটি সব সময়ই আছে। কিন্তু কোভিড-১৯ সঙ্কট সমস্যাটিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা নার্স ও অন্য স্বাস্থ্য সেবা কর্মীদের ওপর যেভাবে প্রভাব ফেলছে, একইভাবে প্রভাব ফেলছে আমাদের ওপরও।
টরন্টোর সেন্ট মাইকেল’র হসপিটালের ইমার্জেন্সি মেডিসিনের প্রধান স্লাইডার বলছিলেন, ২০২০ সালে খুব কম দিনই ছিল যেদিন পুরো একটা রাত ঘুমাতে পেরেছি। চারপাশজুড়ে ছিল অনিশ্চয়তা, যার বেশিরভাগ ছিল অসত্য তথ্য এবং দ্রুত তা বদলে যেতো। আমার মতো যারা ইমার্জেন্সি মেডিসিনে কাজ করেন তাদেরকে এটা নিয়েই থাকতে হয়। এটাই আমি। কিন্তু এটা ছিল কঠিন। কারণ, কাজের চাপের মধ্যেও কোনো বিরতি ছিল না।
অন্টারিও মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ২০২০ ও ২০২১ সালে দুটি গবেষণা পরিচালনা করেছে। তাতে মহামারির মধ্যে চিকিৎসকদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্তি এবং একাকিত্ব বৃদ্ধির বিষয়টি উঠে এসেছে। ২০২১ সালের মার্চের সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৭২ শতাংশ কোনো না কোনো মাত্রায় শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্তির কথা জানিছেন। পুরো মাত্রায় শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তির কথা জানান ৩৫ শতাংশ। অন্টারিওর ২ হাজার ৬৪৯ জন চিকিৎসক, চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ও বাসিন্দার ওপর সমীক্ষা চালানো হয়।
সংখ্যাটি ২০২০ সালের মার্চে উত্তর আমেরিকায় কোভিড-১৯ এর প্রকোপ শুরু হওয়ার পর পরিচালিত সমীক্ষার ফলাফলের তুলনায় বেশি। সেবারের সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৬৬ শতাংশ কোনো না কোনো মাত্রায় শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিতে ভোগার কথা জানিয়েছিলেন। এ সমস্যায় পুরো মাত্রায় ভুগছেন বলে জানিয়েছিলেন ২৯ শতাংশ।