অন্তর্বর্তী সরকারের দু মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত আমরা সংস্কারের একটা বিষয় নিয়েও আলোচনা শুনলাম না যা সত্যিই উদ্বেগজনক। অথচ ঢাকা কলেজসহ সাতটি কলেজ নুতন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনার দাবী নিয়ে কয়েকদিন আন্দোলনের পর আজ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবী উঠেছে। সরকারী চাকুরীতে প্রবেশের বয়স সীমা বাড়ানো, নুতন নুতন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী করা, আনসারদের দাবী মেটানো, প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা এসব করার জন্যেই কি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে? তাহলে নির্বাচিত সরকারের কাজ কী হবে? সাকিব আল হাসানের অবসর কিভাবে হবে, ছাত্ররা পাস করলো না ফেল করলো, এইসব কাজ করতে করতে দুবছর পার হলে জনমত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা আজ অনেকে চিন্তাও করতে পারছেন না।
সংস্কার নিয়ে কেউ কোন কথা বলছে না। আমাদের ধীরে ধীরে এখন সংস্কারের রুপরেখা এবং স্বরুপ নিয়ে মুখ খোলা দরকার।
যেমন, সংস্কারের অন্যতম প্রধান একটা কাজ হবে রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশে আর কোনদিন কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না তা নিশ্চিত করা। কাউকে রিমান্ডে নেয়া যাবে না। বিনা বিচারে দিনের পর দিন কাউকে জেলে আটকে রাখা যাবে না। পুলিশ এবং সরকারী কর্মকর্তারা কখনো সরকারের কোন বেআইনি নির্দেশ পালন করবে না, দলীয় লাঠিয়াল বাহিনীর মত কাজ করবে না। পুলিশকে স্বাধীনভাবে বুঝার ক্ষমতা থাকতে হবে যে কোনটা অপরাধ আর কোনটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। সরকারী দল হলেই দেশটা কারোই যাতে বাপের সম্পত্তি না হয় এবং তাদের রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে পুলিশ এবং আমলারা বাধ্য নয়, সেটা নিশ্চিত করতে পুলিশ এবং আমলাদের নিয়োগ, বদলী এবং প্রশিক্ষণের মালিকানা এবং ধরন পরিবর্তন করতে হবে সেটা আওয়ামী লীগ বিএনপি বা জামাত, জাতীয় পার্টি যেই হোক না কেন। এসব নিয়ে আলোচনা কোথায়?
স্কারবোরো, কানাডা